বন্ধ হয়ে গেল ৩৫০ শিক্ষার্থীর লেখাপড়া

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের শিকার হয়েছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের গোঘাট গ্রামের কলমু এসএমসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এই কুলনাশিনী নদীর মাঝপথে দাঁড়িয়ে থাকা বিদ্যালয়টি ভেঙে পড়লে ৩৫০ শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা বেগম জানান, শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সাড়ে ৩ শতাধিক ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে বিদ্যালয়টি বেশ ভালই চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের শিকার হয় বিদ্যালয়টি। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে পড়েছে।

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সালমা খাতুন জানান, স্কুলটি নদীতে ভেঙে যাওয়ায় তাদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে বাড়িতেও লেখাপড়ায় মন বসছে না। এখন বছরের শেষ সময় হওয়ায় অন্য স্কুলেও ভর্তি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল সাত্তার জানান, বিদ্যালয় ভবনটি নদী ভাঙনের শিকার হওয়ায় মেয়ের লেখাপড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছি।

উপজেলার কামারজানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, ইতোপূর্বে ভাঙনের কবল থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষায় এলাকাবাসী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। তারপরও স্কুলটিকে বাঁচানো যায়নি।

গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল মমিন খান জানান, অনেক চেষ্টা করেও ভাঙনের কবল থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষা করা যায়নি। পরবর্তীতে পানি শুকিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে একটি বাঁধ নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো জানান, আপাতত ওই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সোলায়মান আলীর বাড়িতে অস্থায়ীভাবে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই