বন্ধু নিয়ে ১০টি অজানা তথ্য

কোনোরকম সংজ্ঞা মেনে যে সম্পর্কটি হয় না, তার নাম বন্ধুত্ব। পৃথিবীতে এই একটিই সম্পর্ক, যার কোনো দলিলপত্র থাকে না। পরস্পরের জন্য স্বার্থহীনতায় মোড়ানো থাকে যে সম্পর্ক, তার নামই বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব যে শুধু সমবয়সী দুজন মানুষের ভেতরেই হয়, এমন নয়। বন্ধুত্ব হতে পারে যেকোনো বয়সের মানুষের সঙ্গেই। চলুন জেনে নিই, বন্ধুত্ব সম্পর্কে ১০টি অজানা তথ্য-

একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার মধ্যে কোনও রকম যৌন চাহিদা ছাড়াই নিছক বন্ধুত্ব অত্যন্ত বিরল। উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে সাধারণ বন্ধুত্বের ক্ষেত্রেও ৮৮ শতাংশ পুরুষ তাদের বান্ধবীদের প্রতি শারীরিকভাবে আকৃষ্ট।

অ্যানথ্রোপলজিস্ট রবিন ডানবারের বক্তব্য, প্রেম প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে অন্ততপক্ষে দু’টি বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট করে। ছেলে হোক বা মেয়ে, প্রেমে পড়ার কিছুদিনের মধ্যেই তার ঘনিষ্ঠতম বন্ধুদের দু’জনকে সে হারায়।

একজন মানুষের গড়ে সারা জীবনে ৩৯৬ জন ভালো বন্ধু হয়। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো প্রতি ১২ জন বন্ধুতে মাত্র একজন বন্ধু শেষ পর্যন্ত টিকে যায়।

জীবনে এমন একজন বন্ধুও যদি না থাকে যার কাছে সমস্ত কথা বলা যায়, তবে নেশাগ্রস্ততা বা ওবেসিটির মতোই তা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক।

কথায় বলে, বন্ধুত্বে যদি সত্যিই প্রাণের টান থাকে তবে ৫০ বছর কোনও যোগাযোগ না থাকার পরে দেখা হলেও বন্ধুরা একে অপরকে ঠিক আগের মতোই জড়িয়ে ধরে।

২০০৪ সালে আমেরিকান সোশিওলজিক্যাল রিভিউয়ের একটি রিপোর্ট বলছে গত ২০ বছরে অর্থাৎ গত শতাব্দীর আশির দশক থেকে মিলেনিয়াম দশক পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে বিশ্বস্ত বন্ধুর সংখ্যা গড়ে এক-তৃতীয়াংশ কমে গিয়েছে।

বন্ধুত্ব হল এমন একটি অনুভূতি যা শিশুদের মধ্যে তৈরি হয় সেই সময় থেকে যখন তারা ভালভাবে নিজেকে প্রকাশ করতেও শেখে না। কোনও বিশেষ খেলনা বা সফট টয়ের প্রতি শিশুদের আকর্ষণ আসলে এক ধরনের বন্ধুত্বই।

করনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা রিপোর্ট বলছে, বেশিরভাগ মানুষেরই জীবনে সর্বাধিক দু’জন প্রিয় বন্ধু বা বেস্ট ফ্রেন্ড থাকে।

ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি বন্ধুবৎসল হয়। লন্ডনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা বলছে ছেলেরা বন্ধুদের চেয়েও বেশি মূল্য দেয় পারিবারিক সম্পর্কগুলিকে।

কর্মস্থলে বন্ধুত্ব খুবই বিরল। সহকর্মী আর বন্ধু কখনওই সমার্থক নয়। লিঙ্কডইন-এর একটি সমীক্ষা বলছে ১৯৮০ সালের পরে যাদের জন্ম তাদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ মানুষ প্রোমাশনের জন্য সহকর্মীর সঙ্গে বন্ধুত্ব ত্যাগ করতে রাজি।



মন্তব্য চালু নেই