বন্ধু দিবসে বন্ধুকে নিয়ে দেখার জন্য বিখ্যাত কিছু ছবি

২ আগস্ট বন্ধু দিবস- বন্ধুদের দিন, বন্ধুত্বের দিন। বন্ধুকে কিংবা বন্ধুদের নিয়ে বাইরে খেতে যাওয়া, ঘোরাফেরা, কেনাকাটা কিংবা আড্ডাবাজির পরিকল্পনা আগে থেকেই ঠিক করা থাকলেও প্রকৃতির অকৃপণ দানে ভেস্তে যেতে পারে সে ভাবনা। এমন ঝরো ঝরো বাদল দিনে বন্ধুকে নিয়ে দেখা যায় বন্ধু এবং বন্ধুত্ব নিয়ে নির্মিত বিখ্যাত সব সিনেমা। শুধু সময় কাটানো নয়- বন্ধুদের নিয়ে আইএমডিবির টপচার্টের এসব সিনেমা দিতে পারে বন্ধুত্বের নতুন রসদ।

সার্কেল অব ফ্রেন্ড (১৯৯৫)
১৯৫০ সালে আয়ারল্যান্ডের পটভূমিতে দুই বন্ধু বেনি হোগান ও তার বন্ধু ইভ মেলোনকে নিয়ে পরিচালক প্যাট ও’কনর নির্মাণ করেছেন ছবিটি। অভিনয় করেছেন ক্রিশ ও’ডনেল, মিনি ড্রাইভার, গারালডাইন ও’রয় প্রমুখ।

ব্রিজ অব টেরাবিথিয়া (২০০৭)
ছবিটি শুধু বন্ধুত্বের নয়- স্বপ্ন এবং বাস্তবায়নের। স্কুলে নতুন এক মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বের কারণে একটি কিশোরের জীবন বদলে যায়। বাস্তবতা থেকে দূরে পালাতে তারা নির্মাণ করে স্বপ্নের এক জগত। বন্ধুত্বের সম্মানে একদিন ঠিকই ধরা দেয় সে অধরা পৃথিবী। গ্যাবোর কাসপো পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন যশ হ্যাচারসন, অ্যানাসোফিয়া রব, রবার্ট প্যাট্রিক প্রমুখ।

ই.টি. দ্য এক্সট্রা টেরেস্ট্রিয়াল (১৯৮২)
পৃথিবীতে হারিয়ে যাওয়া একটি এলিয়েনকে নিজ গ্রহে ফিরিয়ে দেয় একটি কিশোর ছেলে- বন্ধুত্ব ও মানবতার এই ছবিটি আজও শিশু কিশোরদের মধ্যে জনপ্রিয়। স্টিভেন স্পিলবার্গের পরিচালনায় এ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন হেনরি থমাস ও ড্রিউ ব্যারিমুর।

ডাম্ব অ্যান্ড ডাম্বার (১৯৯৪)
উজ্জ্বল মনের দুই বন্ধু দেশের সীমা পেরিয়ে বেরিয়ে পরে অ্যাডভেঞ্চারের খােঁজে- তাদের সহজ সরল আচরণে ছবির যাত্রাপথের বাঁকে বাঁকে যোগায় হাসির খোরাক। পিটার ফ্যারেলি পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন জিম ক্যারি, জেফ ড্যানিয়েলস, লরেন হলি, ম্যারি স্টার।

দ্য ফার্স্ট ওয়াইভস্ ক্লাব (১৯৯৬)
কলেজের এক বন্ধুর মৃত্যুতে এক হয় তিন জন ডিভোর্সি নারী, কম বয়সী মেয়ের লোভে তাদের ছেড়ে গেছে স্বামী। একে অন্যকে সান্তনা দিতে গিয়েই সিদ্ধান্ত হয়- উচিৎ শিক্ষা দেয়া হবে স্বামীদের, ঘটতে থাকে একের পর এক ঘটনা। হিউ উইলসনের পরিচালনায় ছবিতে অভিনয় করেছেন গোল্ডি হওন, বেটি মিডলার, ড্যানি কেইটন, ম্যাগি স্মিথ।

রোমি অ্যান্ড মিশেলস হাই স্কুল রিইউনিয়র (১৯৯৭)
দীর্ঘ ১০ বছর পর স্কুলের পূণর্মিলনিতে দেখা হয় দুই বন্ধুর- একে অন্যের ঠিক উল্টো। কিন্তু অন্যসব ক্লাসমেটদের সঙ্গে একের পর এক মিথ্যা বলতে থাকে তারা। ডেভিড মিরকিন পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন মিরা সরভিনো, লিসা কুড্রো প্রমুখ।

মাই গার্ল (১৯৯১)
একটি মেয়ে নিজের জীবন নিয়েই ব্যস্ত- কিন্তু অপছন্দের এক বন্ধুর সঙ্গে ভিন্নভাবে তার যোগাযোগ বদলে দেয় তার জীবনধারা। হাওয়ার্ড জেফ নির্মিত বন্ধুত্ব ও বিনিময়ের এ ছবিতে অভিনয় করেছেন অ্যানা চমস্কি, ম্যাকালে চকিন, ড্যান অ্যাক্রয়েড প্রমুখ।

সন অব র্যাম্বো (২০০৭)
গ্রীষ্মের ছুটিতে কি করা যায়, ভাবতে ভাবতেই স্কুলের দুই বন্ধু সিদ্ধান্ত নেয়- র্যাম্বো সিরিজের ‘ফার্স্ট ব্লাড’ ছবিটির মতোই একটা ছবি বানাবে তারা। ছবিটি পরিচালনা করেছেন গ্র্যাথ জেনিংস এবং অভিনয় করেছেন বিল মিলনার, উইল পোওল্টার, জেসিকা হাইনেস, অ্যানা উইং।

ফ্রাইড গ্রিন টমোটোস (১৯৯১)
নিজের জীবন ও সংসার নিয়ে বিরক্ত এক নারীর বন্ধুত্ব হয় নার্সিং হোমের প্রবীণ এক নারীর সঙ্গে। ধীরে ধীরে নার্সিং হোমের অনেকের কাছ থেকেই অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ নিয়ে পরিপূর্ণ করেন নিজের জীবন। জন অ্যাভান্টের পরিচালনায় ছবিতে অভিনয় করেছেন ক্যাথি বেটস্, জেসিকা টেন্ডি, ম্যারি স্টুয়ার্ট মাস্টারসন, ম্যারি লুইস পার্কার প্রমুখ।

থ্রি ইডিয়টস (২০০৯)
দুই বন্ধু খুঁজে বেড়ায় তাদের কলেজের বন্ধুকে, যে নিজের ভাবনা দিয়ে বদলে দিয়েছে চারপাশের মানুষের জীবন। যদিও তাকে সবাই এক কথায় ‘ইডিয়ট’ বলে, তবুও বন্ধুত্বের টানে যাত্রাপথের গল্পটা বদলে দেবে দর্শকের অনেক ভাবনা। রাজকুমার হিরানি পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন আমির খান, মাধবান, শারমান জোসী, কারিনা কাপুর প্রমুখ।

দ্য সিক্রেট গার্ডেন (১৯৯৩)
ভারতের এব ভূমিকম্পে বাবা মাকে হারায় এক কিশোরী। চাচার কাছে ইংল্যান্ডে চলে যেতে বাধ্য হয়- তারপর তার মনোজগতে ঘটে পরিবর্তন। অ্যাগনেসকা হল্যান্ডের পরিচালনায় অভিনয় করেছেন কেট মাবেরলি, ম্যাগি স্মিথ, হেইডন প্রোয়েস প্রমুখ।

ফ্রি উইলি (১৯৯৩)
ছোট্ট একটি ছেলে জানতে পারে একটি তিমি কিছুদিনের মধ্যেই অ্যাকুরিয়ার কর্তৃপক্ষের হাতে খুন হবে- তিমিটিকে মুক্ত করে সাগরে ছেড়ে দিতে জীবনে ঝুঁকি নিতেও দ্বিধা করেনা সেই কিশোর। বন্ধুত্বের এমন নিদর্শন ফ্রেমে বন্দি করেছেন সাইমন উইনচার। অভিনয় করেছেন জ্যাসন জেমস রিচার, লরি পেটি, মাইকেল ম্যাডসেন প্রমুখ।

স্ট্যান্ড বাই মি (১৯৮৬)
দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই, এমন এক বন্ধুর মৃত্যু সংবাদে বদলে যায় এক যুবকের জীবন। মৃতদেহ সনাক্ত করতে ঘুরে আসেন নিজের ছেলেবেলা। রব রেইনারের পরিচালনায় ছবিতে অভিনয় করেছেন উইল হুইটন, রিভার ফনিস্ক, জেরি ও’কনেল প্রমুখ।

দিল চাহতা হ্যায় (২০০১)
সেই শৈশব থেকে তিন বন্ধুর বন্ধুত্ব- কিন্তু তিন জন তিন ধরনের। এই তিনজনের মধ্যে অন্য কিছু কখনোই প্রাধান্য পায় না- কিন্তু ভালোবাসা বদলে দেয় তাদের জীবন। প্রেমের কারণেই আলাদা হয় তারা, প্রেমের কারণেই ফিরে আসে অকৃত্রিক বন্ধুত্বের টানে। ফারহা আখতারের পরিচানায় ছবিতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আমির খান, সাঈফ আলী খান, অক্ষয় খান্না, প্রীতি জিনতা।

দ্য উইজার্ড অব ওজ (১৯৩৯)
ডরোথি গেল হঠাৎ করেই চলে যায় জাদুকরী এক দুনিয়ায়, একজন জাদুকরের খোঁজে থাকে যে সাহায্য করবে বাস্তব জগতে ফিরে আসতে। কিন্তু ‘ওজ’ শহরের সবাই তার অপেক্ষাতেই ছিল। ভিক্টর ফ্লেমিং পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন জুটি গারল্যান্ড, ফ্র্যাঙ্ক মর্গান, রে বোলগার প্রমুখ।

রক অন (২০০৮)
বন্ধুদের সঙ্গে পুনর্মিলন ফিরিয়ে দিতে পারে জীবনের স্বাদ, বেঁচে থাকার সাধ- ছবিটি দেখলে এমন অনুভূতিই হবে। অভিষেক কাপুর পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন ফারহান আখতার, অর্জুন রামপাল, ল্যুক কেনি, পুরাব কোহলি- যারা একটা সময় একত্রিত হয় তাদের বন্ধুত্বের টানে।

দ্য সিস্টারহুড অব দ্য ট্রাভেলিং প্যান্টস (২০০৫)
পেশাগত জীবন কিংবা সংসারের কারণে বন্ধুত্ব নষ্ট হতে পারে, এমন ধারণা থেকেই চারটি মেয়ে জিন্স প্যান্ট একে অন্যের সঙ্গে বদলে নেয়। কিন্তু বাস্তবতা কি তাদের এই নির্মল বন্ধুত্ব নিয়মিত করে? জানা যাবে কেন কপিস পরিচালিত এ ছবিটি দেখলে। অভিনয় করেছেন অ্যাম্বার টম্বলিন, অ্যালেক্সিস ব্লেডেল, আমেরিকা ফেরেরা ও ব্লেক লাইভলি।

থেলমা অ্যান্ড লুইস (১৯৯১)
রেস্টুরেন্টের একজন পরিবেশনকর্মী এবং একজন গৃহিনী- দুজনের একই উদ্দেশ্য, একজন ধর্ষককে খুন করা। সম্পুর্ন ভিন্ন পরিবেশ থেকে আসা দুই নারীর বন্ধুত্বটা হয়ে যায় অগোচরে, হয়ে ওঠেন একে অপরের অবলম্বন। রিডলি স্কট পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন সুজান স্যারান্ডন, জিনা ডেভিস, মাইকেল ম্যাডসেন প্রমুখ।

জিন্দগি না মিলেগি দোবারা (২০১১)
বন্ধুত্বের যাত্রাপথে ঘটে নানা অপ্রীতিকর ঘটনাও, কিন্তু তাতে কি বদলে যায় বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা? না- দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তিন বন্ধুর বন্ধুত্ব, ভালোবাসা এবং আশ্রয়ে ফেরার গল্প নিয়েই জয়া আখতার পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন ফারহান আখতার, অভয় দেওল, হৃত্বিক রোশন, ক্যাটরিনা কাইফ, কল্কি কোয়েচিন প্রমুখ।

ব্রােকডাউন প্যালেস (১৯৯৯)
মাদক পাচারের অভিযোগে পুলিশের হাতে ধরা পরে দুই নারী- অথচ তাদের দাবী, থাইল্যান্ডে ছুটি কাটাতে এসেছে তারা। দ্বিধায় পুলিশ- তারা কি আগে থেকেই পরিচিত? নাকি পিছনে আছে অন্য কোন কাহিনি? জোনাথন ক্যাপলানের পরিচালনায় এ ছবিতে অভিনয় করেছেন ক্ল্যারি ডেনস, কেট ব্যাকিনসেল, বিল পুলম্যান, জ্যাকলিন কিম প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই