বন্ধুকে অপমান করার প্রতিবাদে মেসিরা যা করলেন, তা সত্যিই অভাবনীয়

সমালোচনায় সমালোচনায় জেরবার হতে হচ্ছিল মেসিদের। বিশ্বকাপের যোগ্যতানির্ণায়ক পর্বে খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য আর্জেন্তিনার সংবাদমাধ্যম সমালোচনায় সরব হয়ে উঠেছিল। নখদাঁত বের করেছিলেন সমর্থকরাও।

এর উপরে গত সপ্তাহে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের কাছে ৩-০ গোলে হারার পর থেকেই কোচ এদুয়ার্দো বাউজাসহ আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের তুলোধোনা করে চলেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে তাঁদের যা কিছু বলা হয়েছে, সকলেই নীরব থেকেছেন। কিন্তু খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত জীবনকে নিয়ে সমালোচনা শুরু করতেই এর প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছেন মেসিরা।

এদিন কলম্বিয়ার সঙ্গে ম্যাচ শেষে মেসি-সহ আর্জেন্টিনা দলের ২৫ জন খেলোয়াড় সাংবাদিক সম্মেলন কেন্দ্রে আসেন। এরপরই তাঁরা জানান, আজ গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন না তাঁরা। মেসির নেতৃত্বে সবাই মিডিয়া বয়কট করেন।

তবে সংবাদমাধ্যমকে একদম অন্ধকারে না রেখে একটি লিখিতপত্র জমা দেওয়া হয় ফুটবলারদের পক্ষ থেকে। তাতে লেখা ছিল, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আপাতত কেউ কোনও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলব না।

আমাদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ আনা হয়েছে যেগুলো অত্যন্ত অসম্মানজনক ও মিথ্যে। আমরা কখনওই এ ব্যাপারে কিছু বলি না। কিন্তু আজ আমরা দুঃখিত, এ ছাড়া আমাদের কোনও উপায় নেই।’

দু-একটি সংবাদমাধ্যমের ভুয়ো খবর প্রচারের জন্যই এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেসি। তাঁর কথায়, ‘আমরা জানি, সব সংবাদমাধ্যম এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। তারা আমাদের সম্মান করে। তবে কোনো খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত জীবনকে লক্ষ্য বানানোটা খুবই ঘৃণ্য একটা ব্যাপার।’

সম্প্রতি একটি রেডিও স্টেশনে এজেকুয়েল লাভেজ্জিকে নিয়ে একটি সংবাদ পরিবেশিত হয়। যাতে অভিযোগ করা হয়, লাভেজ্জি অনুশীলনের পর মারিজুয়ানা নিয়ে থাকেন। লাভেজ্জির এই সংবাদটিই আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বয়কটের মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের।

এদিকে আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের কেউ কথা না বললেও কোচ বাউজা ঠিকই মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের। কলম্বিয়ার বিপক্ষে তিন গোলে জয়ে তিনি প্রকাশ করেছেন নিজের সন্তুষ্টি, ‘আমি খেলোয়াড়দের বলেছি, ওদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। এক সপ্তাহ ধরে গণমাধ্যমে আমাদের যেভাবে সমালোচনা হচ্ছে, তাতে কলম্বিয়ার বিপক্ষে এই ম্যাচটি মোটেও সহজ ছিল না আমাদের জন্য।’



মন্তব্য চালু নেই