‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২ জঙ্গি পুলিশ হত্যায় জড়িত

রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত আব্দুল্লাহ নোমান ও কামাল হোসেন হিরণ জেএমবির সামরিক শাখার কমান্ডার ছিলেন।

গ্রেফতার অন্য তিন জঙ্গি নেতার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই দুই কমান্ডারকে ধরতে গেলে গোয়েন্দাদের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধ’ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুইজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেট্টোপলিট্রন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি আরো জানান, নিহত দুই জঙ্গি ও জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) কমান্ডার পুরান ঢাকার হোসেনী দালানে বোমা হামলা, গাবতলী ও আশুলিয়ায় পুলিশ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনাগুলোর পর থেকেই পুলিশের তদন্ত শুরু হয়। এক পর্যায়ে ডিসেম্বরে মিরপুরের একটি জঙ্গি আস্তানা থেকে চার জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। রিমান্ডে এনে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে বুধবার রাতে হাজারীবাগ এলাকা থেকে আরমান, জাহিদ হাসান রানা ওরফে মুসহাব ও নূর মোহাম্মদ ওরফে ল্যাংড়া মাস্টারকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে তাদের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার হাজারীবাগ থানার বারইখালী পশ্চিম সুলতানগঞ্জ বেড়ীবাঁধ এলাকায় অভিযানে যাওয়া হয়। সেখানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটরসাইকেলে আসা দুই যুবক বোমা ও গুলি ছোড়ে। পুলিশও গুলি চালায়। পরে তার মারা যায়।

যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, মিরপুর শাহ-আলী জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেফতার জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারি, ওই বাসায় গ্রেনেড তৈরিতে সহযোগিতা করত কামাল ওরফে হিরণ, শাকিল ওরফে মোস্তাক, আব্দুল্লাহ ওরফে নোমান, রিপন, ফারদিন ওরফে সজল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। গাবতলীতে এএসআই ইব্রাহিম হত্যায় সজীব ও আশুলিয়ায় পুলিশ সদস্য হত্যায় তারেক নামে দু’ জেএমবি সদস্য পলাতক রয়েছে। হোসেনী দালানে বোমা হামলার আরও এক জেএমবি সদস্য পলাতক রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই