বন্দিশালায় জঙ্গি ও ফাঁসির আসামিদের পৃথক ঈদ জামাত

দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর শনিবার উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মানুষের মাঝে বিরাজ করছে অন্যরকম আমেজ। এ আমেজ থেকে পিছিয়ে নেই দেশের কারাগারগুলোও। ঈদের দিনে বন্দিশালার বাসিন্দাদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

প্রতিটি কারাগারে ঈদের নামাজের আয়োজন করা হয়েছে। নামাজ আদায়ের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। নামাজের পর বন্দিদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে বিশেষ খাবারের।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সকাল ৯টায় পৃথকভাবে পাঁচটি জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। নামাজের পর কারাগারে তাদের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঈদের দিন বন্দিদের খাবারের তালিকায় মধ্য রয়েছে, সকালে সেমাই ও মুড়ি, দুপুরে ডিম, আলুর দম, রুই মাছ ও সাদা ভাত। আর রাতের খাবারের তালিকায় আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ গরুর ও খাশির গোশত, মিষ্টি ও পান সুপারি।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. নেসার আলম বলেন, ঈদে কারাগারে বন্দিদের জন্য সব ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। সবাই ভালোভাবে ঈদ পালন করতে পারবেন বলে আশা করছি।

কাশিমপুর কারাগারেও ঈদ আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সেখানে তিনটি ঈদের নামাজের আয়োজন করা হয়েছে।

পার্ট-১ এ বন্দিদের মধ্যে রয়েছে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দ-প্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আজীবন কারাদ-প্রাপ্ত জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।

কাশিমপুর পার্ট-২ এ বন্দি আছেন বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজাহারুল ইসলাম ও মীর কাশেম আলী।

কাশিমপুর পার্ট-২ এ পৃথকভাবে তিনটি ঈদের জামায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারাগারের এই অংশে একশ জন ফাঁসির আসামি রয়েছেন। তাদের জন্য পৃথক ঈদের নামাজের আয়োজন করা হয়েছে। তাদের ঈদের জামাত হবে কনডেম সেলের সামনে।

এছাড়া জঙ্গিসহ দুর্ধর্ষ বন্দিদের জন্য থাকবে আলাদা একটি জামাতের ব্যবস্থা। আর সাধারণ বন্দিদের জন্য রয়েছে আরেকটি জামাতের ব্যবস্থা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাশিমপুর পার্ট- ২ এর সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত বনিক বলেন, ঈদে কারাগারে বন্দিদের জন্য তিনটি জামায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া দেওয়া হবে বিশেষ খাবার। সবাই যেন সুন্দরভাবে ঈদ পালন করতে পারেন আমাদের এটাই প্রত্যাশা।



মন্তব্য চালু নেই