বজ্রপাতে প্রাণ গেল আরও পাঁচজনের

বজ্রপাতে বাংলাদেশে মৃত্যুর ঘটনা নতুন কিছু নয়। এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও এর জন্য মূলতই মানুষকেই দায়ি করছে আবহাওয়াবিদরা। তারা বলছে, অতিমাত্রায় মোবাইল ব্যাবহার, বড়বড় গাছ কর্তন ইত্যাদী কারণে বাংলাদেশে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটছে।

আজ মঙ্গলবার দেশের দুই জেলায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নোয়াখালীতে মা-বাবা ও শিশুপুত্র এবং পিরোজপুরে এক গৃহবধূ ও এক কিশোর রয়েছে। গতকাল সোমবার তিন জেলায় একই কারণে মারা গিয়েছিল সাতজন।

আমাদের পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান, দুপুরের দিকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ছোটমাছুয়া গ্রামে সুমি আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূ ও বেতমোর গ্রামে খায়রুল ইসলাম (১৪) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সুমি আক্তার ছোট মাছুয়া গ্রামের রুহুল আমিন সরদারের স্ত্রী। আর খায়রুল ইসলাম উপজেলার বেতমোর গ্রামে মনির হোসেনের শরীফের ছেলে।

তুষখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপির) চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুমি বাড়ির উঠানে কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান।

বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন আকন জানান, দুপুরে খায়রুল ইসলাম বাড়ির সামনের ধানখেতে জমে থাকা পানিতে মাছ ধরতে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে খায়রুল ঘটনাস্থলে মারা যায়।

নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, দুপুরে কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের জগদানন্দ গ্রামের বাড়ি থেকে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ছায়দুল হক মোটরসাইকেলে করে পাশের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। তাঁরা মুছাপুর এলাকায় গেলে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় ছায়দুল হক তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মুছাপুরের একটি বাড়ির গোয়াল ঘরে আশ্রয় নেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে তাঁদের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ফজলে রাব্বী জানান, নিহত তিনজন হলেন ছায়দুল হক (২৮), তাঁর স্ত্রী লাইজু আক্তার (২৪) ও তাঁদের শিশুপুত্র মো. ইমন (২)। তিনি বলেন, মরদেহগুলো ছায়দুলের শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এর আগে ১২ ও ১৩ মে ২৬টি জেলায় নারী, শিশুসহ ৮১ জন বজ্রপাতে মারা যায়। পরপর দুদিনে বজ্রপাতে এত প্রাণহানির ঘটনা নজিরবিহীন। এরপর ১৭ মে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।



মন্তব্য চালু নেই