বছর জুড়েই অবহেলিত শহীদ মিনার রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি

সুজন দাস : ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্র“য়ারি ভাষার জন্য আত্মদানের বিরল সৌভাগ্য অর্জন কিেছল বাঙালি। মায়ের ভাষার জণ্য জীবন দেওয়ার ইতিহাস পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায়নি। এই গৌরব শুধুই আমাদের। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে- দেশের অনেক জায়গায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ছাড়া অন্যদিনগুলোতে শহীদ মিনারের কোন কদর নেই। বছরজুড়েই অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকে।

তেমনি একটি উদাহরণ শহীদ মিনার হচ্ছে হাজীগঞ্জ বাজারস্থা পশ্চিম বালুর মাঠ সেখানে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ময়লার স্তুপ জমে আছে। পরিস্কার বা সংস্কার করা কেউ নেই। শুধু ভাষার মাস এলের এক বা দুই দিন আগে এবং বিভিন্ন দিবসের দিনে ও লোক দেখানো পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয়। সারা বছর এর প্রতি নজর থাকে না রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিতদের। শহীদ মিনারের সম্মান ও পবিত্রতা রক্ষার আইনি বিধান থাকলেও বছর জুড়েই এটি অবহেলিত থাকে বলে অভিযোগ জেলা ও উপজেলার নানা শ্রেনি-পেশার মানুষের। শহীদ মিনারের মূল বেদিতে জুতা পায়ে চলাচল করছে মানুষ। নোংরা করছে পশু পাখি। শহীদ মিরার অঙ্গন অবাধে ব্যবহুত হচ্ছে গাড়ি পার্কিংয়ে স্থান হিসেবে। অনেক শহীদ মিনাররে সামনে দেখা যায় বিভিন্ন অটোরিকশা পার্কিং করা হয়। দেশের অনেক জেলা এমন অবহেলিত শহীদ মিনারের সংখ্যা কম নয়। যে কোনো দেশেই শহীদ মিনারকে অবজ্ঞা ও অসম্মান করা জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেখানে আমাদের মাতৃভাষার শহীদদের অনেক সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে সেখানে আমাদের এমন উদাসীনতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার নয়। শহীদ মিনার আমাদের সবার জন্য একটি শ্রদ্ধার জায়গা। এটি সংরক্ষন করা সবারই দায়িত্ব। শহীদ মিনারকে অবজ্ঞা ও অসম্মান না করে সংরক্ষণ করতে পারলেই পরিপূর্ণ সম্মান জানানো হবে শহীদদের। জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ জাগার রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণে সরকারকেই সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে। আর সেই সঙ্গে সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে সচেতনতার উন্মোষ।



মন্তব্য চালু নেই