বছরে ছুটি ৬০ দিন, কাটিয়েছেন ২২০ দিন!

সুপার লিগের কয়েকটা দিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নিয়মিতই দেখা গেছে তাঁকে। ল্যাপটপ বগলে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, নয়তো নির্বাচকদের সঙ্গে সভা করছেন। অথবা কোথাও বসে খেলা দেখছেন। হঠাৎ করেই সেই লোকটি উধাও!

বলা হচ্ছে, জাতীয় দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কথা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর প্রায় দুই মাস ছুটি কাটিয়ে তিনি ঢাকায় ফেরেন গত ১ জুন। বিমানভ্রমণের সেই ক্লান্তি কাটতে না-কাটতে গত ১৯ জুন বিসিবি সভার রাতে আবারও অস্ট্রেলিয়ায় উড়াল দিয়েছেন কোচ। কবে ফিরবেন নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন।

গত বুধবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীকে প্রশ্নটা করা হলেও স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি তিনিও, ‘আগামী মাসের ১৭ তারিখ পর্যন্ত ক্রিকেটারদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। এরপরই ক্যাম্প শুরু। কোচ তার আগেই চলে আসবেন।’

আসলে বিসিবির চাকরিতে হাথুরুসিংহের ছুটিছাটা যে নীতিতে চলছে তাতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষেও তাল মেলানো কঠিন। প্রথম চুক্তিতে বছরে ৬০ দিন ছুটি পাওয়ার কথা তাঁর। অথচ গত দুই বছরে শ্রীলঙ্কান এই কোচ ছুটি কাটিয়েছেন প্রায় ২২০ দিন!

এত বেশি ছুটি তিনি কীভাবে কাটাচ্ছেন জানতে চাইলে নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর ব্যাখ্যা, ‘চুক্তিতে কিছু শর্ত তো লেখা থাকেই। তবে কোচদের কাজের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনে বাড়তি ছুটি দেওয়ার এখতিয়ার আছে কর্তৃপক্ষের।’

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান অবশ্য এর আগে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, কোচ যে বাড়তি ছুটি কাটাচ্ছেন সেটি নাকি তাঁর জানাই নেই!

২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত নতুন চুক্তিতে কোচের ছুটি-ছাটার বিষয়গুলো নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে বিসিবি। যদিও সেটা ছুটি কমিয়ে না বাড়িয়ে, তা নিশ্চিত নয়। ‘আমাদের পরিকল্পনা আছে জাতীয় দলের পাশাপাশি কোচের অভিজ্ঞতাকে অন্যভাবে কাজে লাগাতে। তাকে কাজে লাগানোর আরও ভালো কিছু পরিকল্পনা নিচ্ছি আমরা। এগুলো সমন্বয় করেই সবকিছু ঠিক হবে’—বলেছেন নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।

২২ হাজার ডলার থেকে বেড়ে নতুন চুক্তিতে হাথুরুসিংহের বেতন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০ হাজার ডলার। এর সঙ্গে কর্মদিবসের সংখ্যাটা বাড়াই তো উচিত! #প্র/আ



মন্তব্য চালু নেই