বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, ভ্যাপসা গরম

বৃষ্টি এবং গরম-দুটোই চলছে একসঙ্গে। আকাশ ভেঙে বর্ষা নামলে গরম কমে না এতটুকু, বরং ভ্যাপসা গরম বাড়ে আরও। গুমোট আবহাওয়ায় স্বাভাবিক কাজকর্মে ঘটছে ব্যাঘাত। নগরে চলাচল হয়ে উঠেছে যন্ত্রণাকর।

গণপরিবহণের ভেতর মানুষের ভিড়ের কারণে আরও বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। ঘরের ভেতর বা বাইরে কোথাও স্বস্তি মিলছে না এতটুকু। দিনে ও রাতে একই ধরনের পরিস্থিতিতে হাঁপিয়ে উঠেছে মানুষ।

ঈদের আগে কেনাকাটার জন্য নগরে মানুষের যাতায়াত বেড়ে গেছে। যেসব দোকান বা বিপনিবিতানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র নেই, সেগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতা দুই পক্ষই আছে কষ্টে। রোজায় শ্রমজীবী মানুষদের জন্য জীবন হয়ে উঠেছে আরও দুর্বিষহ।

দেশে রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও চাহিদা ও যোগানে এখনও রয়ে গেছে পার্থক্য। এই অবস্থায় প্রায়ই আবার ঘটছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বৈদ্যতিক পাখা বন্ধ থাকলে পরিস্থিতি আরও অসহনীয় হয়ে উঠে।

রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আবুল খায়ের খান বলেন, ‘বর্ষায় টানা বৃষ্টির অপেক্ষায় আছি। এ ছাড়া মুক্তির উপায় নেই’।

মিরপুরের বাসিন্দা জামাল বলেন, ‘রাতে ঘুমাতে পারছি না। একদিনে গরম, অন্যদিকে মশার যন্ত্রণা। মশারির ভেতর গেলে ফ্যানের বাতাস ঢোকে না, আবার বাইরে আসলে মশা কামড়ায়’।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে এই আবহাওয়া বেশিদিন থাকবে না। বঙ্গোপসাগরে লঘু চাপের কারণে বাতাসে আদ্রতা বেড়ে গেছে। এ কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। আগামী দুই দিনে এই পরিস্থিতির অবসান হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান। এই আবহাওয়াবিদ জানান, এখন যে তামপাত্রা আছে, বর্ষায় তা অস্বাভাবিক নয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে সোমবার বেলা ১২টায় রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার সারাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। ঢাকায় ছিল ৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রবিবার ঢাকার বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। আবহাওয়াবিদরা জানান, আদ্রতা বেশি থাকলে ভ্যাপসা গরম পড়ে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাব বলছে, ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গা এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণও হতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই