বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদী লাইফ সাপোর্টে

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলার বাদী এএফএম মাহিতুল ইসলাম লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।

তিনি বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।

বুধবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মাহিতুল ইসলামের চিকিৎসার জন্য ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
তার দুটো কিডনিই সম্পূর্ণ বিকল। এছাড়াও তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।’

মাহিতুলের চিকিৎসার বিষয়টি তিনি নিজেও তদারকি করছেন বলেও জানান।

বুধবার সন্ধ্যায় মাহিতুল ইসলামকে দেখতে যান ভিসি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৬৩ বছর বয়েসী মাহিতুল ইসলাম সম্প্রতি কিডনির সমস্যা নিয়ে বিএসএমএমইউ’র নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলমের অধীনে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি হলে কেবিনে নেওয়া হয়। ফের অবস্থার অবনতি হলে গত ২৬ জুলাই তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয় এবং বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

এদিকে বিএসএমএমইউ’র জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত মজুমদারের পাঠানো গণমাধ্যমে প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অ্যানেসথেশিয়া, এনালজেশিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক জানিয়েছেন, এএফএম মাহিতুল ইসলাম বর্তমানে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছেন। তার কিডনির কার্যকারিতা প্রায় শেষ পর্যায়ে। যে কারণে তাকে একদিন পর পর ডায়ালাইসিস দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘তার ফুসফুসের সংক্রামক (নিউমোনিয়া) মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, যা কোনো জীবাণুনাশকেই ভালোভাবে কাজ করছে না। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা অনেকটাই ডায়ালাইসিসের ওপর নির্ভরশীল।’

এদিকে মাহিতুল ইসলামের চিকিৎসায় নিয়োজিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা হলেন- কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জি, অ্যানেসথেসিওলজির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, নিউরো মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, নেফ্রোলজির অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, অ্যান্ডোক্রাইনোলজি মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন, মেডিসিনের (রেসপাইরেটরি উইং) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, নেফ্রোলজির অধ্যাপক ডা. আছিয়া খানম, ইন্টারনাল মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ এবং অ্যানেসথেসিওলজির সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ কে এম কামরুল হুদা।

এছাড়া অ্যানেসথেশিয়া, এনালজেশিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ কে এম কামরুল হুদা ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মনোতোষ কুমার মণ্ডল মাহিতুল ইসলামের চিকিৎসায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছেন।

প্রসঙ্গত, মাহিতুল ইসলাম ১৯৯৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় বঙ্গবন্ধু হত্যার মামলা দায়ের করেন। মামলার মোট আসামি ছিলো ২০ জন।



মন্তব্য চালু নেই