‘বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে প্রচার চালালে ব্যবস্থা’

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহার করে প্রচার-প্রচারণা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে কেউ আত্মপ্রচার করবেন না, যাতে শোক দিবসের ভাবগাম্ভীর্য নষ্ট হয়। তারপরও যারা জাতির জনকের ছবি ব্যবহার করে প্রচার চালাবেন, মাতামাতি করবেন তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জাতির জনকের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সচিবালয়ের সামনে ছাড়া গোটা নগরজুড়ে ১৫ আগস্ট উপলক্ষে লাগানো পোস্টার-ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবির সঙ্গে অন্তত ৪০ জন নেতা-কর্মীর ছবি দেখা যায়।

এভাবে বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করে আত্মপ্রচারে নিমজ্জিত হবেন না। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আত্মাকে কষ্ট দিচ্ছেন। এটা অন্যায়, এর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখন ছবির রাজনীতি চলছে। এসব পোস্টার দেখে ভয় হয়। যখন আবার দুঃসময় নেমে আসবে তখন হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও এদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

সততা ও সাহসের যে আদর্শ বঙ্গবন্ধু রেখে গেছেন, তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

স্মৃতিচারণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছেই গেছি। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ আন্দোলনের ডাক দিয়েছি, কিন্তু তাদের কাছ থেকে সাড়া পাইনি। এ নিয়ে অনেক সত্য কথা আছে যা বলা যায় না।’

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বছর বছর যাদের জন্মদিনের কেকের আকার ও ওজন বাড়ে তারা বঙ্গবন্ধুকে ছোট করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা পারেনি।

তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে বিলবোর্ড, টেলিভিশন, রেডিও সবখানে বঙ্গবন্ধু এক নিষিদ্ধ নাম ছিল। টুঙ্গিপাড়া ছিল নিষিদ্ধ। অনেক নিষেধের বেড়াজালে বঙ্গবন্ধুকে যারা আবদ্ধ করতে চেয়েছিল, একে একে তারাই ইতিহাসের পাতা থেকে নিষিদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন।’

সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, প্রাক্তন সচিব ও তথ্য কমিশনার এম আজিজুর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাহবুব আহমেদ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ কাদের সরকার, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম জহিরুল হক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব শাহ কামাল প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই