বকশিবাজারের আশেপাশেও ভিড়তে পারেনি বিএনপি নেতাকর্মীরা!

দলের চেয়ারপারসনের আদালতে হাজিরার দিন বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি থাকতো চোখে পড়ার মতো।

কিন্তু প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে এখন আর আগের মতো নেতাকর্মী বকশিবাজারের অস্থায়ী আদালতের আশপাশে ভিড়েন না বা ভিড়তে দেয়া হয়না। এমনকি ঢাকা মেডিকেল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা দাঁড়াতে চাইলেও পুলিশ সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেয়।

বৃহস্পতিবার বকশিবাজারের অস্থায়ী আদালতে দুর্নীতির অভিযোগের দুই মামলায় হাজিরা দিতে যান বেগম খালেদা জিয়া।সকাল ১০টার দিকে তিনি আদালতে উপস্থিত হন।

অন্য সময়ের মতো এবারও খালেদা জিয়ার উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়।

বকশিবাজারের আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয় আদালত প্রাঙ্গণে।

এছাড়া আদালতের আশপাশের সড়কে টহলে রাখা হয় র‌্যাব সদস্যদের।

শুধু তাই নয়, বকশিবাজারের আলীয়া মাদরাসা মাঠের আশপাশের ভবনগুলোর ছাদেও পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখে গেছে।

অন্য সময় খালেদা জিয়ার আদালতে উপস্থিতির দিন বিএনপির অনেক শীর্ষ নেতাসহ অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আদালতের আশপাশে অবস্থান নিতেন। অনেকে আবার সমর্থকদের জড়ো করে শীর্ষ নেতাদের কাছে নিজের শক্তির জানান দিতেন।

কিন্তু এবারের চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। সব মিলিয়ে এক থেকে দেড়শোর মতো নেতাকর্মীকে সকাল থেকে বকশিবাজারের আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।

ওই এলাকায় সকাল থেকে যাদের দেখা গেছে তারা হলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, শ্রমিক দল সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, মৎসজীবী দলের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন প্রমুখ।

এদিকে সকালের দিকে বকশিবাজার মোড়ে ছাত্রদল ও মহিলা দলের কয়েকজন নারী কর্মীরা অবস্থান করলেও পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। পরে তারা মেডিকেল মোড়ে গিয়ে দাঁড়ালে সেখান থেকেও তাদের সরে যেতে বলে।

এরআগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেডিকেল মোড়ে বিএনপি নেতারা কিছুক্ষণ অবস্থান করলেও পুলিশ বেশিক্ষণ তাদের দাঁড়াতে দেয়নি। পরে সবাইকে সরিয়ে দিলে নেতাকর্মীরা চাঁনখারপুল মোড়ের দিকে চলে যায়।

যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যাতে করে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেজন্য তারা কাজ করছেন। নেতাকর্মীদের জটলা করতে দিচ্ছেন না। কারণ এর আগে খালেদা জিয়ার আদালতে উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে সরকার সমর্থক ও বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লালবাগ জোনের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “ওই সংঘর্ষের পর যাতে এর পূণরাবৃত্তি না ঘটে সে কারণেই একটু কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে এটা বজায় থাকবে।”



মন্তব্য চালু নেই