বই আনতে গিয়ে অটোবাইকে পিষ্ট হলো শিশু ছাত্রী

নতুন বছরে বই উৎসবের শুরুর দিনে নতুন বই নিয়ে খুশি মনে বাড়ি ফেরার কথা ছিল দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সোহানা আক্তারের (৭)। কিন্তু আর ফেরা হলো না তার। ২৭নং ছতিয়ানি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী সোহানা বই আনতে যাওয়ার পথে অটোবাইকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহত সোহানা শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের ছাকিতয়ানি গ্রামের শাহিন সরদারের কন্যা।

জানা যায়, শুক্রবার সকাল অনুমান সাড়ে ৯টায় বাড়ি থেকে সহপাঠীদের সঙ্গে ছাতয়ানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নুতন বই আনতে যাচ্ছিল সোহানা। শরীয়তপুর-গোসাইরহাট সড়কের ছাতিয়ানি ব্রিজের সামনে আনন্দবাজার নামক স্থানে পৌঁছানোর পর পেছন থেকে একটি অটোবাইক চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘাতক অটোবাইকটিকে আটক করলেও চালক পালিয়ে যায়। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

এদিকে স্কুলের শিক্ষার্থী সোহানার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বই বিতরণ বন্ধ রাখে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রায় দেড় ঘণ্টা শরীয়তপুর-গোসাইরহাট সড়ক অবরোধ করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দোষী চালককে আটক করার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন এলকাবাসী। অটোচালককে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোহানার গ্রামের বাড়িতে এখন চলছে শোকের মাতম। সোহানার মা কাকলী বেগম বলেন, আমার মেয়ে নুতন বই আনতে স্কুলে যাচ্ছিল। ঘাতক অটোবাইক চাপা দিয়ে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।

ডামুড্যা থানার ওসি আশ্রাফুল আমিন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অটোবাইকটিকে আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক রয়েছে। এখনো কোনো মামলা হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই