ফ্রান্সে জরুরি অবস্থা আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে

ফ্রান্সের জরুরি অবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মানবাধিকার সংগঠনসহ কয়েকটি মুসলিম সংগঠন। সন্ত্রাস প্রতিরোধের অজুহাতে মুসলমানদের বাড়ি, মসজিদ, হোটেল ও রেস্তোরাঁয় পুলিশের চলমান অভিযান বেআইনি বলে দাবি করেছে সংগঠনগুলো।

গত ১৩ নভেম্বর প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলায় ১৩০ জন নিহত হওয়ার পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এর পর কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সন্ত্রাসবিরোধ অভিযানে নিরীহ মানুষজনকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে জরুরি অবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে কমপক্ষে ২০টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সংগঠনগুলোকে আইনি সহায়তা দেওয়া ছয়জন আইনজীবী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জরুরি অবস্থায় কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষমতায় তারা বিনা বিচারে আটক ও কোনো পরোয়ানা ছাড়াই যেকোনো স্থানে অভিযান চালানোর অধিকার রাখে। যদিও আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জরুরি অবস্থা বলবত থাকার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু এরমই মধ্যে সরকার ঘোষণা দিয়েছে এই মেয়াদ আরো বাড়ানো হতে পারে।

সম্প্রতি গণজরিপে অধিকাংশ মানুষ সরকারের জরুরি অস্থায় আস্থা স্থাপন করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে জনগণকে রক্ষায় তারা যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে বদ্ধপরিকর। সরকার নাগরিকদের অতিরিক্ত নিরপাত্তা ও কিছু ক্ষেত্রে গোপনীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা হিসেবে ১৯৫৫ সালের জরুরি আইনের আওতায় এ জরুরি অবস্থা জারি করেছে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভরত এক পরিবেশবাদীকে জরুরি আইনের অধীনে গৃহবন্দি করে রাখায় ওই ব্যক্তি এই জরুরি অবস্থা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ ডিসেম্বর ফ্রান্সের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালত নাগরিক অধিকার খর্ব হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সাংবিধানিক আদালতের কাছে পরামর্শ চেয়েছে।

বেশিরভাগ অভিযোগের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া এবং ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অনেককে গৃহবন্দি করে রাখাসহ ও গ্রেপ্তার-নির্যাতন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে অভিযানের সময় বাড়িঘর ভাঙচুরসহ লোকজনকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।

তথ্যসূত্র : এনডিটিভি অনলাইন।



মন্তব্য চালু নেই