ফোন নয় যেন জাদুর কাঠি, চাইলে পারবেন বাঁকাতে

আচ্ছা ধরুণ তো, আপনার হাতে যে ফোনটি রয়েছে তা যদি ইচ্ছে মত যতটা খুশি বাঁকা করা যেত! তবে কেমন হত? নিশ্চয় খুবই মজার একটা ব্যাপর হত? হয় তো এখন ভাবছেন এসব আবার কি কথা! ফোন আবার নিজ ইচ্ছেতে বাঁকানো যায় কি?

এতদিন যেত না। তবে এখন থেকে বাঁকানো যাবে ফোন। সেও আবার স্মার্টফোন। শুধু বাঁকানো নয়, প্রয়োজনে বাঁকানোর পরও ফোনটিকে পুনরায় আগের স্থানেই রাখা যাবে। কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বানিয়ে ফেলেছেন এমনই একটি ফোন। দেখে নিন ঠিক কেমন হবে সেই ফোন হাতে নেওয়ার অভিজ্ঞতা।

কানাডার কুইনস বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান মিডিয়া ল্যাবের প্রযুক্তিবিদরা বানিয়ে ফেলেছেন বিশ্বের প্রথম ফ্লেক্সিবল স্মার্টফোন—‘রিফ্লেক্স’। হাই রেজিলিউশন এই স্মার্টফোনটি একজন ইউজার তার ইচ্ছেমতো বাঁকিয়ে নিতে পারে হাতের চাপে। কাজ হয়ে গেলে ফোনটি আবার ফিরে যাবে তার পুরনো আকৃতিতে।

ফোনটি এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে যে ডানদিকে বাঁকালে অনেকটা বইয়েরপাতা ওল্টানোর মতো করেই একটি পেজ থেকে অপর একটি পেজে যাওয়া যাবে। যতবেশি বাঁকানো যাবে ফোনটি তত দ্রুতগতিতে ওল্টাবে পাতা আর পাতা ওল্টানোর সময় মৃদু কম্পন টের পাবেন ইউজাররা।

রিফ্লেক্সে রয়েছে একটি ৭২০পিক্সেল এইচডি ফ্লেক্সিবল ওলেড ডিসপ্লে এবং অ্যানড্রয়েড ৪.৪ অর্থাৎ কিটক্যাট ভার্সন অপারেটিং সিস্টেম। ডিসপ্লের পিছনেই রয়েছে ‘ফোর্স সেন্সর’। কতটা চাপ পড়ছে স্মার্টফোনে তা ‘সেন্স’ করবে এই ফোর্স সেন্সরগুলি এবং সেই অনুপাতে ফোনের অ্যাপগুলিও নিজেদের ডিসপ্লে পরিবর্তন করবে।

আধুনিক রেসপন্সিভ অ্যাপ ডিজাইনিং প্রযুক্তি অনুযায়ী সব মোবাইল অ্যাপই ডিভাইসের যে কোনও আকার আয়তনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়। এক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই ঘটছে কিন্তু অভিনব হল ফোনের হার্ডওয়্যার যাতে কোনও প্রভাব পড়ে না ফোনটি বেঁকে গেলেও। গবেষক দলের বক্তব্য, গেম খেলার সময় সবচেয়ে বেশি কাজ দেবে এই ফ্লেক্সিবল স্মার্টফোন।



মন্তব্য চালু নেই