ফোন আছে ব্যাটারি নাই

ফোন মানেই সেখানে থাকবে ব্যাটারি। বহনযোগ্য ফোনে ব্যাটারি থাকবে না ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য বটে! তাও আবার স্মার্টফোনে। এই ফোনটিতে চার্জার পোর্ট থাকলেও এতে কখনো দেয়া লাগে না চার্জ। এতো সুযোগ সুবিধা থাকার পরেও ফোনটির মূল্য ৫ ডলার থেকে ১৫ ডলারের মধ্যে। ভ্যাট ও ট্যাক্স ছাড়া বাংলাদেশি টাকায় ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা।

এত কম মূল্যে পাওয়া ফোনটি এখনি কিনতে ইচ্ছে করতে পারে আপনার। তবে মজার ব্যাপার হলো এই স্মার্টফোন দিয়ে আপনি কোন কল করতে পারবেন না, তথ্য আদান প্রদান করতে পারবেন না, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না এমনকি গেমও খেলতে পারবেন না। ওহ! এই স্মার্টফোনে নেই কোন ক্যামেরা, নেই কোন গান শোনার ব্যবস্থা। তো আছে টা কি?

যা আছে তা আপনি অন্য স্মার্টফোনে পাবেন না। আপনার মূল্যবান সময়গুলোকে কাজে লাগানোর সুযোগ, প্রিয় মানুষকে সামনা সামনি দেখার সুযোগ। এই ফোনটি একটি আমড়া কাঠের ঢেঁকি। বলতে পারেন মোবাইলের খোলস। এই খোলস দিচ্ছে আপনাকে দারুণ অনুভূতি যা আপনি স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে হারিয়ে ফেলেছেন।

নো ফোন নামের এই ফোনটিতে তিনটি মডেল রয়েছে। ৫,১০ ও ১৫ ডলারে পাওয়া যাবে ফোনটি। অন্যান্য ফোনে যা বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই ফোনে সেই বৈশিষ্ট্যগুলো নেই। আর এই ফোনে যা আছে তা নেই সত্যিকারের ফোনে।

‘নোফোন’-এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ভ্যান গুড নিজ ওয়েবপেইজে জানিয়েছেন, নোফোন-এর ওজন, আকার সব আসল ফোনের মতোই। গ্রাহক যাতে কোনোভাবেই মনে না করেন, তার সঙ্গে ফোন নেই, সেজন্যই এভাবে নোফোন ডিজাইন করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ ফিচার ছাড়া শুধু ফোন আকৃতির মডেলটি রয়েছে, সেটির নাম দেওয়া হয়েছে নোফোন জিরো, মূল্য পাঁচ ডলার। দ্বিতীয় মডেলের মূল্য দশ ডলার, গ্রাহকের মনকে স্বান্তনা দেওয়ার জন্য এতে নকল বাটন এবং পোর্ট রাখা হয়েছে। ফিচারসমৃদ্ধ মডেল নোফোন সেলফির মূল্য ১৫ ডলার।ফোনটিতে স্ক্রিনের স্থানে রয়েছে কালো কাঁচ এবং নকল বাটন ও পোর্ট।

তিনটি ফোনের ক্ষেত্রেই গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে যে এগুলো কোনো প্রকারের কাজই করবে না। পৃথিবীর আর কোনো গ্যারান্টি কাজ করুক আর নাই করুক, এই গ্যারান্টি যে কাজ করবে সে বিষয়ে সিনেট নিঃসন্দেহ বলেই মন্তব্য করেছে।



মন্তব্য চালু নেই