ফেসবুকে লাইক শেয়ার কমেন্টসে গভর্নর

সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে হ্যাকাররা ৮০০ কোটি আত্মসাৎ করায় দেশ জুড়ে গণ তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গভর্নরকে (ড.আতিউর রহমান) পদত্যাগ করার দাবি জানিয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। পরে গত মঙ্গলবার বিকাল তিনটায় গভর্নর সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে স্থায়ী ভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অবসর গ্রহন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আতিউর রহমান বলেন, আমি আমার সন্তাদের সময় দিই নাই। বাংলাদেশ ব্যাংকে সময় দিয়েছি। গত সাত বছর ধরে একদিনের জন্য ছুটি কাটাইনি। শুধুমাত্র ব্যাংকের স্বার্থে। বিদেশে বিদেশে সফর করেছি তাও ব্যাংকের স্বার্থের জন্য এবং দেশের উন্নয়নের জন্য।

আতিউর রহমানের শেষ বিদায় ভাষণের এসব কথার প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বড় যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নানা মানুষের নানা মত দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগকে স্বাগতম জানিয়েছে। আবার অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও জানানো হয়েছে। এ নিয়ে সরকারের কাছে নানা শ্রেনীর মানুষ সরকারের কাছে জবাবদিহিতাও চেয়েছে।

দৈনিক জাতীয় পত্রিকার এক সাংবাদিক তার ফেসবুকে স্ট্যাটাসে বলেছেন, ঢাবি পরিবারের সদস্যকে নিজ পরিবারে আবারো স্বাগতম। আমাদের শিক্ষকের আত্ম মর্যাদা আছে বলে তিনি পদত্যাগ করেছেন। আর বেহায়া মাল মুহিত অর্থমন্ত্রী হয়ে পদত্যাগ তো করেনি বরং এবার মজা করে দূর্নীতি করার হিসাব মিলাচ্ছে।ধিক্কার এ সব বেহায়াদের।

বেসরকারি টিভি চ্যানেলের আরেক সাংবাদিক তার ফেসবুকে ৭ বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ যিনি ৫ গুণ করেছেন, ব্যাংকিং খাতকে নিয়ে গেছেন বঞ্চিত মানুষের কাছে, গরিব ঘরের অদম্য মেধাবীদের শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ যিনি শেকড়ে বিস্তৃত করেছেন, আগন্তুক সাইবার আক্রমণের কারণ উদ্ঘাটনের আগেই অনাকাঙ্ক্ষিত সমালোচনার মুখে পড়ে তাকে স্থাপন করতে হয় পদত্যাগের দৃষ্টান্ত।

শরিফুল হাসান নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, আতিউর রহমানকে স্যালুট। বুকের ভেতর থেকে সালাম। তিনি যখন দায়িত্ব নেন তখন রিজার্ভ ছিল ছয় বিলিয়ন। আর এখন সেই রিজার্ভ ২৮ বিলিয়নের ওপর। আতিউর ছিলেন আমাদের মতো সাধারনের ব্যাংকার। গরিবের ব্যাংকার। তরুনের ব্যাংকার।

শাকিল খান লিখেছেন, এই মানুষটাকে অসম্ভব ভালো লাগে। হয়তো পরিস্থিতির শিকার। ভালো থাকবেন, স্যার; আপনার মতো করে।

কাব্য নামে আরেক সাংবাদিক লিখেছেন, এক আতিউর, একটি পদত্যাগ, নতুন দিগন্ত ও অনেক মুখে চপেটাঘাত ঘটে যাওয়া কিছু গৌরবজ্জল অতীত; বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ২ হাজার ২০০ কোটি আত্মসাৎ- মূল হোতা ধরাছোয়ার বাইরে (অর্থমন্ত্রীও তাই বলেন)। হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে ২ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ (ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেডসহ)- এখানেও মূল হোতা বাইরে (জনগন বলে)। ডেসটিনি কেলেঙ্কারী ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার- মূল হোতা জেলে থাকলেও জামাই আদরে হাসপাতালে (প্রথম আলো বলে)। বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেলেঙ্কারীর ১৩শ’ ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ- এখানেও একই অবস্থা।

বেসরকারি টিভি চ্যানের অন্য এক ভাই তার ফেসবুকে লিখেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একজন যোগ্য লোককে হারিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই