ফেসবুকে নিজের নগ্ন সেলফি কিশোরীর, দেখলেন বাবা! তার পরেই মর্মান্তিক পরিণতি

সোশ্যাল মিডিয়া একই সঙ্গে আশীর্বাদ এবং অভিশাপ। বহু জরুরি কাজে লাগার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার নানা অপব্যবহারের দৃষ্টান্তও হরদম চোখে প়়ড়ে। সে রকমই এক অপব্যবহারের চরম মূল্য চোকাতে হল এক কিশোরীকে।

কয়েক দিন আগে টেনাসির ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরী খেয়ালবশে নিজের নগ্ন সেলফি পোস্ট করে ফেসবুকে এবং স্ন্যাপচ্যাট নামের সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার ধারণা ছিল, বিষয়টি তার পরিবারের অগোচরই থাকবে। কিন্তু ঘটনাচক্রে কিশোরীর সেই সমস্ত ছবি তার মা-র চোখে প়ড়ে যায়। তিনিই মেয়েকে কঠোর শাস্তি দেবেন বলে স্থির করেন। কিন্তু মেয়ের প্রবল বাধায় তাকে মারধর করতে পারেননি মা।

মহিলা বিষয়টি এর পর তোলেন নিজের স্বামীর কানে। মেয়ের নগ্ন ছবিগুলো দেখেন কিশোরীর বাবা বছর পঁয়তাল্লিশের ক্রিশ্চিয়ান অ্যামাসন। তিনি সব দেখেশুনে অগ্নিমূর্তি হয়ে ওঠেন। এর পরেই শাস্তিস্বরূপ মেয়ের উপর অকথ্য নির্যাতন চালান তিনি।

জানা গিয়েছে, মেয়েকে একটা ঘরে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ব্যাপক মারধর করেন ক্রিশ্চিয়ান। আপাদমস্তক ঘুষি মেরে মেয়ের নাক-মুখ ফাটিয়ে দেন। মারের চোটে শরীরের বিভিন্ন অংশে কালসিটে প়়ড়ে যায় ও রক্ত জমাট বেঁধে যায় কিশোরীর। তার পর তার গলা টিপে ধরেন বাবা।

নিজেকে বাঁচাতে কোনওক্রমে নিজের দিদিকে ফোন করে কিশোরী। তার দিদিই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় ক্রিশ্চিয়ানকে।

ক্রিশ্চিয়ান এবং তাঁর স্ত্রী অবশ্য নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আদৌ লজ্জিত নন। তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন, মেয়ের কীর্তি দেখে মাথার ঠিক রাখতে পারেননি তাঁরা। তবে বাবার হাতে তাঁদের মেয়ে উপযুক্ত শাস্তিই পেয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।



মন্তব্য চালু নেই