অত্যন্ত নোংরা ও দুর্গন্ধ পরিবেশে তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই!

ক্ষতিকারক ফেভিকল গাম ও আইকা ব্যবহার করে এবং নোংরা পরিবেশে বানানো বিপুল পরিমাণ সেমাই জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার বিকালে ঢাকা জেলা প্রশাসন, পঞ্চম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও বিএসটিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে কেরানীগঞ্জ থানার বড় কুশিয়ারবাগ এলাকায় এ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহী।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, সোমা ফুড প্রোডাক্টস নামের একটি কারখানা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিকারক ফেভিকল গাম ও আইকা ব্যবহার ও নোংরা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ‘এইচকে লাচ্ছা সেমাই’ প্রস্তুত ও বিক্রয় করে আসছিল। সেমাই তৈরির পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত। প্রচুর মাছি, তেলাপোকা ও ময়লা আবর্জনা কারখানাটিতে পাওয়া যায়। অভিযানকালে মালিক হারাধন কুমার পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেয়া হয় এবং লাইসেন্স বাতিলের জন্য বিএসটিআইকে বলা হয়।

পঞ্চম আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আমিরুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নজরদারি করার পর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ওই কারখানায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেমাই তৈরিতে ব্যবহৃত ক্ষতিকারক ফেভিকল গাম ও আইকা উদ্ধার করা হয়। ফেভিকল ব্যবহার করে সেমাইকে গাঢ় ও শক্ত করা হয়, যাতে প্রস্তুতকৃত সেমাই ভেঙে না যায়।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, ওই কারখানা থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ভেজাল সেমাই জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন পঞ্চম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সাইদুর রহমান, বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার মো. রেজোয়ানুর রহমান প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই