মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও পুলিশের আইজি কাছে আকুতি

ফেনী দাগনভূঞা থানা পুলিশ ও নারী নির্যাতনকারী হাত থেকে বাঁচতে সাংবাদিক সম্মেলন

নোয়াখালীতে ফেনী জেলার দাগনভূঞা থানা পুলিশ ও নারী নির্যাতনকারী হাত থেকে বাঁচতে গৃহ বধু সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান অদ্য ২২ মার্চ, ২০১৫ ইং রবিবার আপনাদের সামনে হাজির হয়ে দাগনভূঞা উপজেলার ৫নং ইয়াকুবপুর ইউনিয়ন এর ইয়াকুবপুর, কমর উদ্দিন হাজী বাড়ীর নারী নির্যাতন, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মামলাবাজ- গোলাপ রহমানের ছেলে নুর নবী (২৮), নুর মিয়ার ছেলে আহসান (৩৫), এয়াকুব মিয়ার ছেলে হোসেন (২৯), জামাই ইউসুফ, গোলাপ রহমানের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৩৫), মিরু মিয়ার মেয়ে চামেলী (১৮), নুর নবী স্ত্রী রুমি (২২), কামাল মিয়ার ছেলে দেলোয়ার (৩২), দেলোয়ারের স্ত্রী নার্গিস বেগম (২০) সহ আরো ১৫/২০ জন ভূমি দস্যুদের অত্যাচার, নির্যাতনের কিছু বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, শাহীনা আক্তার একজন সাধারণ গৃহিনী।

তার স্বামী দীর্ঘ দিন যাবৎ আবুধাবীতে থাকেন। বাড়ীতে তার স্বামী না থাকায় তার পরিবারের সদস্যদের উপর নারী লোভী একই বাড়ীর নুর নবী ও আহসানের কু-দৃষ্টি পড়ে। বিভিন্ন সময় তাহাকে অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রস্তাব দেয়। তিনি তাদের অবৈধ কাম-লালসায় সাড়া না দেওয়াতে তারা শাহিনা আক্তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। নারী নির্যাতন কারীরা তার অবর্তমানে তাহার বড় মেয়ে শারমিন আক্তার (১৮) কে বিভিন্নভাবে উত্যাক্ত করত এবং অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রস্তাব দিতো। তাদের হাত হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য অল্প বয়সে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয়।

শাহিনা আক্তার নারী নির্যাতন কারীদের ঘৃনিত কু-প্রস্তাবের প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হতে থাকে। বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য লোকদের জানালে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু করে। শাহিনা আক্তার তার স্বামীর নামে খরিদ করা গত ১৪ জুন ১৯৯৯ইং সনের ৩৬১৭ নং দলিল মূলে ০.৭৫ ডিং, ১৩ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৬ইং সনের ৮৬৮নং দলিলে ১২ডিং এবং ১৫ অক্টোবর ১৯৯৬ইং সনের ৫৪৬৯নং দলিলমূলে ১৪.৫০ ডিং মোট ২৭ ডিং সম্পত্তিতে ভিটি বেঁধে অদ্যবদি ভোগ দখল করছে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ভূয়া মালিকানা দাবী করে উক্ত ভূমি গ্রাস করার পাঁয়তারা করতে থাকে।

শাহিনা আক্তার ও ছেলে ইসমাইল, মেয়ে শারমিন আক্তার, মেয়ের জামাতা ফরহাদ, ভাগিনা সোহেল, ছোট বোন রৌশন আক্তার মনি সহ পরিবারের লোকজনকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতে থাকে। উক্ত ভূমি অবৈধ দখল নেওয়ার জন্য বিগত ১ মার্চ ২০১৫ইং বিকেল ৫টায় সন্ত্রাসী নুর নবী ও আহসানের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি বাহিনী দা, ছেনী, লাঠি-সৌঠা নিয়ে দখল করতে আসে।

ভূমির মালিক শাহিনা আক্তার সহ পরিবারের লোকজন বাঁধা দিতে গেলে নুর নবী, আহসান, ইউসুফসহ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা শাহিনা আক্তারের উপর হায়েনার মত ঝাপিয়ে পড়ে। নুর নবী, আহসান, শাহিনা আক্তারের শাড়ী টানা হেছড়া করে খোলে শ্লীলতাহানি করে। শাহিনা আক্তারের শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে মুখে ডান বাহুতে কামড় দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। শুধু তাই নয়, তাহার শৌর চিৎকারে বড় মেয়ে শারমিন আক্তার এগিয়ে আসলে ইউসুফ, দেলোয়ার, নুর নবী, আহসান, হোসেন, ফিরোজা, চামেলী, রুমি, সহ তাকে বেদম প্রহার করে। তার মেয়ের শৌর চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে সন্ত্রাসীদের কবল হতে রক্ষা করে দাগনভূঞাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শাহিনা আক্তার তিন দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসী নারী নির্যাতন কারীরা সন্ত্রাসী দলেবলে বলীয়ান এবং মদদে সন্ত্রাসী হওয়ায় এলাকার লোকজন ভয়ে মুখ খোলে না।

নারী নির্যাতন কারীরা শাহিনা আক্তার ও মেয়ে শারমিন আক্তার নামে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অখ্যাত পত্রিকায় হলুদ সংবাদ কর্মীদের দিয়ে ভূয়া সংবাদ প্রকাশ করে সমাজের নিকট তাদের চারিত্রিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে। উক্ত ঘটনায় শাহিনা আক্তার বাদী হয়ে ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা থানায় একখানা এজাহার দায়ের করলে ওসি আশ্বাস দিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মামলা গ্রহণ না করে ফেরত দেয়। পরে শাহিনা আক্তার, পুলিশ সুপার কার্যালয় ফেনী গিয়ে এস.পি সাহেব অবহিত করে ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে অবহিত করলে এসপি সাহেব ওসি দাগনভূঁঞাকে ১০ মার্চ ২০১৫ অনুরোধ করলেও ওসি মামলা গ্রহণ করেনি। থানায় এজাহার দায়ের করার পর সস্ত্রাসীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে নির্মম নিষ্ঠুরভাবে তার পরিবারকে একের পর এক হুমকী ধমক দিয়ে যাচ্ছে।

তারা শাহিনা আক্তারের পরিবারের লোকজনকে প্রাণে হত্যা করে লাশ ঘুম ও বসত ভিটি হইতে উচ্ছেদ করার হুমকী ধমক দিচ্ছে এবং শাহিনা আক্তার যদি এলাকায় শালিস দরবার, থানা কিংবা আদালতে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করে তাহলে পৃথিবীতে বাঁচতে দিবে না। নারী নির্যাতন কারীদের ভয়ে শাহিনা আক্তার তাহার বাড়ী ছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি ফেনীতে না গিয়ে শাহিনা আক্তার এই সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সমাজের অনেক মানুষের চেয়েও সাংবাদিক অনেক বেশী জান্তা ও বিবেক সম্পন্ন ব্যক্তি। আপনারা আপনাদের বিচার বিশ্লেষণ ও ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে ভুমিদস্যু, সন্ত্রাসী, নারী নির্যাতনকারী, অত্যাচারীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, পুলিশের আইজি ও জাতির নিকট তুলে ধরার জন্য বিনীত অনুরোধ জানান।



মন্তব্য চালু নেই