ফুসফুস ক্যান্সারের কিছু লক্ষণ

প্রবাদ আছে- ‘প্রতিরোধ নিরাময়ের চেয়ে ভালো’। কাজেই ভোগার চেয়ে রোগ থেকে মুক্তি লাভই বুদ্ধিমানের কাজ। এজন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের জীবনধারণের পদ্ধতি পরিবর্তনের পাশাপাশি আমাদের সকলের আগে থেকেই সচেতন হওয়া দরকার। ফুসফুসের মাধ্যমে যেহেতু পরিবেশের সব ভালো-মন্দ আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, তাই এখানে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই ফুসফুস ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচতে আমাদের প্রথম থেকেই সচেতন থাকা জরুরি। গবেষকরা বলেছেন, সঠিক সময়ে রোগটি চিহ্নিত করা না গেলে শতকরা ১০০ ভাগ ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যু হয়। আবার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা না পড়লে একে নিয়ন্ত্রণও করা সম্ভব নয়।

তারা বলেছেন, অনেক সময় প্রাথমিক পর্যায়ে ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণগুলো বোঝা যায় না। অনেকের ক্ষেত্রে পর্যায়-৩ এ চলে যাওয়ার পর ধরা পড়ে। তারপরও কিছু লক্ষণ রয়েছে যা দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

এক্ষেত্রে জেনে নিন কিছু লক্ষণ-

# অনেক সময় চাপা কাশি ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। আবার অন্য নানা কারণেও চাপা কাশি হতে পারে। তারপরও কফ দীর্ঘদিন থাকলে ফুসফুসের ক্যান্সার থেকে বাঁচতে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

# ধূমপায়ী হলে দীর্ঘস্থায়ী কফের সঙ্গে বেশি শ্লেষ্মা ও রক্ত গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নতুবা বিপদ থেকে রেহাই মিলবে না।

# শ্বাসকষ্ট বা দম কম পড়া ফুসফুস ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। এছাড়া শ্বাস প্রশ্বাসের পথে ব্লক হলে, পথ সরু হয়ে গেলে শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ হুইসেলের মতো শোনালেও সতর্ক হন। তবে শারীরিক আরও সমস্যার কারণেও এটি হতে পারে। তারপরও আগাম সতর্কতায় শ্বাসপ্রশ্বাসে কোনোরকম অস্বস্তি হলেই চিকিৎসকের কাছে যান।

# বেশ কিছুদিন ধরে মাথা ব্যথা, বুক ব্যথা কিংবা কাঁধে ব্যথা হলেও সাবধান হোন। কেননা এটিও ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

# হঠাৎ করে অনেকটা ওজন কমে যাওয়াও এ রোগের লক্ষণ হতে পারে।

# কণ্ঠস্বর কর্কশ বা ফেঁসফেঁসে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান। এই লক্ষণ সাধারণত কাশি বা কফের সময় হয়। তবে এটা যদি দুই সপ্তাহের বেশি হয় তবে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ফুসফুসের টিউমার কণ্ঠস্বরের স্নায়ুর ওপর প্রভাব ফেললে এই সমস্যা হয়।

# হঠাৎ করে খিদে কমে যাওয়া খুব একটা ভালো লক্ষণ নয়। এর জন্য শরীরের ক্যান্সার কোষগুলো দায়ী। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে এমন হতে পারে।

৮. অনেকেরই হাড় ও মাংসপেশীতে নানা সময়ে ব্যথা হয়। তবে তা সবসময় যে ক্লান্তি বা দুর্বলতার কারণে হয় তা নয়। ফুসফুসে ক্যান্সার হলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। কাজেই ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচতে আগেই সচেতন হোন। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সুস্থ থাকুন।



মন্তব্য চালু নেই