সেতু আছে: সড়ক নেই :

ফুলছড়ি উপজেলার প্রায় ২০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর খালের ওপর সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে তা কোনো কাজে আসছে না জনগণের। এতে গাইবান্ধার জেলার ফুলছড়ি উপজেলার প্রায় ২০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

১৯৬২ সালে কুড়িগ্রাম থেকে শুরু করে ফুলছড়ি উপজেলার ওপর দিয়ে সাঘাটার জামিরা মৌজা পর্যন্ত ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর ডান তীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ (ওয়াপদা বাঁধ) নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বাঁধ নির্মাণে মাটি খনন করার ফলে উড়িয়া ইউনিয়নের কাটাদাড়া এলাকায় একটি খালের সৃষ্টি হয়। সব সময় খালে পানি থাকে। এতে খালের পূর্ব পাশে রতনপুর, কাবিলপুর, খাটিয়ামারী, মধ্যউড়িয়া, মহিষালের চরসহ ৪ ইউনিয়নের প্রায় ২০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ দেখা দেয়।

এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে এলাকাবাসী স্বাধীনতার পর থেকে স্থানটিতে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো তৈরি করে চলাচলের ব্যবস্থা করে। কিন্তু অতিরিক্ত চাপে প্রতি বছরই সাঁকো ভেঙে পড়ত। স্থানীয়দের উদ্যোগে তা মেরামত করে কোনোমতে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হতো। এভাবেই দীর্ঘদিন চলে যায়।
২০১৩-১৪ অর্থ বছরে এডিবি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে সেখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেতুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৩০ জুন সমুদয় বিল উত্তোলন করে নিয়ে যায়।

উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জলিল মিয়া জানান, প্রতিদিন মালপত্র নিয়ে উপজেলা সদরে যেতে হয়। কিন্তু সংযোগ সড়কের অভাবে সেতুর ওপর দিয়ে মালামাল বহণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ঘাড়ে করে মালপত্র বহন করতে হয়। মাটি ভরাট করা হলে ভ্যান-রিকশায় মালপত্র নেয়া যাবে।

উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সরকার জানান, সেতু দিয়ে ২০টি গ্রামের নারী-পুরুষসহ ছেলে মেয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

ফুলছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী একেএম আখতারুল আহসান জানান, সেতুর পূর্ব প্রান্তে মাটি ভরাটের জন্য উড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান এলজিএসপির মাধ্যমে একটি প্রকল্প নিলেও অদ্যাবধি কোনো কাজ হয়নি। সেতুর পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের জন্য ৮ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল। ঠিকাদার এ কাজ করেছে।

তিনি আরও জানান, বিগত বন্যায় পানির স্রোতে মাটি সরে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অচিরেই পশ্চিম প্রান্তে মাটি ভরাটের কাজ করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই