ফুটপাতে বাইক চালালে তিন মাসের জেল

ফুটপাতে হেঁটে চলার পথে গাড়ি নিয়ে উঠে পড়লে সাজার বিধান রেখে আইন পাস হচ্ছে। মন্ত্রিসভা এরই মধ্যে একটি আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে যাতে বলা হয়েছে, ফুটপাতে মোটর সাইকেল চালালে তিন মাসের কারাদণ্ড হতে পারে।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সড়ক পরিবহন আইনের খড়সায় নীতিগত অনুমোদন দেয় সরকার, যাতে ফুটপাতে মোটর সাইকেল চালালে সাজার কথা বলা হয়।

রাজধানীতে সড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে চলার পথ ফুটপাতে প্রায়ই মোটর সাইকেল উঠে পড়ে। কখনও কখনও আবার পথচারীদেরকে জায়গা ছেড়ে দিতে বিকট শব্দে হর্ন বাজাতেও দেখা যায়। নগরবাসীকে এই বিরক্তি থেকে মুক্তি দিতে নানা সময় নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, নির্দেশ এসেছে উচ্চ আদালত থেকেও। কিন্তু সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশকেও একই কাজ করতে দেখা গেছে।

সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, ফুটপাতে মটরসাইকেল চালালে তিন মাসের কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানা হবে ৩৫ হাজার টাকাও।

ফুটপাতে মোটরসাইকেল চালানো এর আগেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০১২ সালে হাইকোর্ট বিভাগ ফুটপাতে মোটরসাইকেল চালানো অবৈধ ঘোষণা করে। সে সময় চালকদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু এই আদেশের প্রয়োগ দেখা যায়নি তেমন। আবার বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতে যেন মোটর সাইকেল উঠতে না পারে সে জন্য লোহার পাইপ গেড়ে বাধাও দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেগুলোও কোথাও কোথাও চুরি হয়ে গেছে।

এই পরিস্থিতিতে সাজা নির্ধারণ করে আইন প্রণয়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শামিম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ফুটপাতে মটর সাইকেলের উৎপাতে চলাচল করাই মুশকিল। সরকার এর বিরুদ্ধে আইন করছে, এটা খুবই ভালো। কিন্তু আইন করলেই শুধু হবে না, এর প্রয়োগ করা লাগবে তবেই এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে জনগণ।’

ফুটপাতে মোটরসাইকেল ওঠার বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস ভবনের মোড়ে ট্রাফিক সিগনালে দায়িত্বরত শাহবাগ ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট আরিফুর ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সবার আগে আমি যাব ধরনের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। নইলে এ সমস্যা থেকেই যাবে। তার পরও আমরা এ বিষয়ে সচেতন আছি, বিভিন্ন ভাবে এটা নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার এস এম শিবলী নোমান বলেন, ‘আইন না থাকলে মানুষের বোধদয় হয় না। এই আইন করার ফলে মানুষের মধ্যে চেতনা সৃষ্টি হবে।’ তিনি বলেন, ‘এর ফলে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের সুবিধা হবে এবং নিয়ন্ত্রণ করাও অনেক সহজ হবে।’



মন্তব্য চালু নেই