ফিটনেসবিহীন গাড়ি ধরার অভিযান আপাতত বন্ধ

সরকার নতুন ১১শ গাড়ি আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এই গাড়িগুলো আসার আগে আর ফিটনেসবিহীন গাড়ি বন্ধ করা হবে না। তবে যেগুলোর অবস্থা বেশি খারাপ সেগুলো রাস্তায় নামতে দেয়া হবে না।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দু কাদের।

মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন বাস আনার নানা উদ্যোগ নিয়েছি। গণপরিবহনে নতুন বাস আসবে। এসব বাস আসার আগে ফিটনেসবিহীনগুলো রাস্তা থেকে উঠিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। অভিযান চললে ফিটনেসবিহীন গাড়ি বের হয় না। সে অবস্থায় রাস্তায় মানুষ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকেন, গাড়ি পায় না, ভোগান্তি হয়। রিপ্লেসমেন্টের আগে তুঘলকি কাণ্ড ঘটিয়ে সব গাড়ি রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেয়ার বাস্তবতা এ মুহূর্তে নেই, তবে একেবারেই ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলতে দেয়া হবে না।’

আগামী বছর ১১শ গাড়ি আসছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ৫শ ট্রাক, ডাবল ডেকার, এসি, নন-এসি ৬শসহ মোট ১১শ গাড়ি বিআরটিএ বহনে ফেব্রুয়ারি-মার্চে যুক্ত হবে।

মোটরসাইকেলে আরোহী সংখ্যা বাধ্যবাধকতার বিষয়টি আবারো মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, চালকসহ দু’জনের অধিক থাকবে না। দু’জনের হেলমেট থাকতে হবে। সহযাত্রী হিসেবে কোনো অবস্থাতেই শিশুদের উঠানো যাবে না।

ওবায়দুল কাদের আরো জানান, ঈদ উপলক্ষে এক হাজার সড়ক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হচ্ছে, তারা ১৪টি পয়েন্টে, ৩ শিফটে ৫ দিন যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে সহায়তা করবে। ঈদে ঘরমুখি বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের জন্য বিভিন্ন পয়েটে ভ্রাম্যমাণ পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ঈদে মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ১৪৪টি স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে।

তিনি দাবি করেন, বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায়, ঢাকা-আরিচা এখন আর মরণফাঁদ নয়, নিরাপদ সড়কের মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।

এসময় বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জোহরা খাতুন ও মুহম্মদ আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই