ফাঁসি নয়, আমৃত্যু কারাদণ্ড সাঈদীর

জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে করা সাঈদীর আপিল মামলার চূড়ান্ত রায়ে সাজা কমিয়ে তাকে এ দণ্ডাদেশ বহাল রাখা হলো।

বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন। অন্য ৪ বিচারপতি হচ্ছেন, বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

আপিল বিভাগের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে সাঈদীর বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ। এর মধ্যে ৩টিতে (১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর) সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে আমৃত্যু, একটিতে (৮ নম্বর) ১২ বছর ও একটি অভিযোগে (৭ নম্বর) ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে সাঈদীকে।

মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে এটি দ্বিতীয় কোনো আপিল মামলার রায়। এর আগে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের নিষ্পত্তি শেষে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রাতে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি খালাস চেয়ে এবং রাষ্ট্রপক্ষ তার মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আপিল মঞ্জুর করেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তার বিরুদ্ধে আনা ২০টি অভিযোগের মধ্যে ৮টিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। এর মধ্যে ইব্রাহিম কুট্টি ও বিসাবালীকে হত্যার আলাদা দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। অন্য ছয়টি অভিযোগে আলাদা করে দণ্ড দেওয়া হয়নি। সাঈদী ওই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ও খালাস চেয়ে গত বছরের ২৮ মার্চ আপিল করেন।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ দোষী সাব্যস্ত হওয়া বাকি ছয়টি অভিযোগে সাজা চেয়ে একই দিন আপিল করে। আপিল বিভাগে এই আপিল মামলার কার্যক্রম শুরু হয় ২৪ সেপ্টেম্বর। ৫০ কার্যদিবস শুনানির পর তা শেষ হয়। এরপর ১৬ এপ্রিল মামলাটির চূড়ান্ত শুনানি শেষে আপিলের রায় অপেক্ষমাণ রাখা হয়।



মন্তব্য চালু নেই