ফাঁসি কার্যকরে প্রস্তুত সরকার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরে সরকার সব ধরনের প্রস্তুত সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তবে নিজামী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা তার জন্য এ মুহূর্তে অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মঙ্গলবার (১০ মে) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

নিজামীর ফাঁসি কখন, কবে কার্যকর করা হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সবাইকে অপেক্ষা করতে বলেন।

তবে কত সময় অপেক্ষা করতে হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ফাঁসি কার্যকরে জেলকোড অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। দ্রুতই রায় কার্যকর হবে।’

সোমবার (০৯ মে) রাত সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে নিজামীকে রায়ের কপি পড়ে শোনান কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির। এসময় পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি গোলাম হায়দার, জেল সুপার নেসার আলম এবং দুইজন ডেপুটি জেল সুপার উপস্থিত ছিলেন। তবে রায়ের কপি শোনার পর নিজামীর প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক ছিল বলে জানা গেছে।

এর আগে সোমবার (০৯ মে) একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর রিভিউ খারিজের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। রায় প্রকাশের পর সেটি ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে রায়ের কপি এখন কেন্দ্রীয় কারাগারে।

তবে নিজামীর দল জামায়াতের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, নিজামী তার স্বজনদের জানিয়েছেন, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইবেন না। আল্লাহ ছাড়া আর কারও কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে নিজামীকে ফাঁসির রশিতে ঝুলাতে আইনগত আর কোনো বাধা থাকবে না।

গত বৃহস্পতিবার (০৫ মে) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামীর রিভিউ খারিজ করে দেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এক শব্দের এই রায় ঘোষণা করেন। বেলা সাড়ে ১১টায় এজলাসে এসে প্রধান বিচারপতি শুধু বলেন, ‘ডিসমিসড’।

বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন : বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এদিকে রিভিউ আবেদন খারিজের পর পুরোজাতি এখন নিজামীর ফাঁসির অপেক্ষায় আছে।



মন্তব্য চালু নেই