ফলাফল প্রকাশিত: স্বাধীনতা চায় না স্কটল্যান্ড

অনেক জল্পনা কল্পনার পর ১৮ সেপ্টেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনের অবশেষে চূড়ান্ত ফলাফল হাতে এসেছে । ৩০৭ বছরের অধীনতা স্কটল্যান্ড অব্যাহত রাখতে চায়। নির্বাচনের এ ফলাফলে হাঁপ ছেড়েছেন ইঙ্গো প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং তার কূটনৈতিক শুভাকাঙ্ক্ষীরা। স্কটল্যান্ডে স্বাধীনতাকামীদের ক্রমউত্থানে তারা সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন।

৩২টি পৃথক অঞ্চলে এ গণভোট অনুষ্ঠিত হয়, যাদের মধ্যে ৩১টিরই ফলাফল এসে পৌঁছেছে। আর একটিমাত্র কেন্দ্রের ফলাফল মূল ফলাফল পরিবর্তনে কোন প্রভাব রাখবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। ৩১টি কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাত গণনা করে দেখা গেছে পূর্বের অনুপাতটি অটুট আছে। একতাপন্থীদের ভোটের হার ৫৫ শতাংশ। বাকি ৪৫ শতাংশ স্বাধীনতাপন্থীদের ভোট।

স্বাধীনতাপন্থী নেতা অ্যালেক্স স্যামন্ড ও তার সমর্থকদের এডিনবার্গে নীল-সাদা স্কট পতাকার নিচে বিমর্ষ দেখা গেছে। অপরদিকে গ্লাসগোসহ বিভিন্ন শহরে ইংল্যান্ডপন্থী একাপন্থীরা, যারা ‘না’ ভোট প্রদান করেছেন, তাদের আপনজনদের চুমু খেয়ে ও মদ্যপান করে আনন্দোল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

স্কটল্যান্ডে স্বাধীনতাকামীদের নেতা স্যামন্ড ফলাফল নির্ধারিত হয়ে যাওয়ার পর লন্ডনস্থ ইংরেজ নীতিনির্ধারকদের স্মরণ করিয়ে দেন তাদের শেষ মুহূর্তের প্রতিশ্রুতির কথা। লন্ডনের নেতারা কূটনৈতিক পর্যায়ে স্কটল্যান্ডের অবদান ও স্বীকৃতি আরও বৃদ্ধির সুঙোগ করে দেয়ার পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করেছিলেন। স্যামন্ড বলেন, স্কটল্যান্ড প্রতিশ্রুতির দ্রুত বাস্তবায়ন দেখে সম্মানিত হতে চায়।

উল্লেখ্য, স্কটল্যান্ডে স্বাধীনতাকামীদের আন্দোলন ক্রমশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করায় বিগত দুই সপ্তাহে ইংল্যান্ডের কূটনৈতিক পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ খোদ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ স্কটল্যান্ড সফর করে গেছেন। কূটনীতিকরা এ সময়ে জাতীয় পর্যায়ে স্কটল্যান্ডের ক্ষমতা বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়েছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই