ফরিদপুরে জনপ্রিয় হচ্ছে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম

“অল্প সময়ে, স্বল্প খরচে সঠিক বিচার পেতে, চলো যাই গ্রাম আদালতে” এই স্লোগানকে ধারন করে এগিয়ে চলছে ফরিদপুরের গ্রাম আদালতের কার্যক্রম। ফরিদপুরের ৬টি উপজেলার ৪১টি ইউনিয়নে অ্যাকটিভেটিং ভিলেজ কোর্টস ইন বাংলাদেশের প্রকল্পের আওতায় গ্রাম আদালত তার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। যা এখন ফরিদপুরের খুবই জনপ্রিয় বিচারিক কার্যক্রম হিসেবে সমাদৃত।

বাংলাদেশের ১৭টি জেলার ৭৭টি উপজেলার ৫০০টি ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত তার কার্যক্রম পরিচালনা করে বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় যা আরো বিস্তার লাভ করছে ধীরে ধীরে। ফরিদপুরের সদর উপজেলা, ভাংগা, মধুখালী, নগরকান্দা, সালথা ও বোয়ালমারীতে গঠন মূলক বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করে এরই মধ্যে এই সব এলাকার মানুষ বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হচ্ছে। এক টাকা থেকে ৭৫ হাজার টাকার মামলা তারা ইউনিয়ন পরিষদে বিচারিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাধান করে থাকে। এর মধ্যে ফৌজদারী ও দেওয়ানী বিষয় মিমাংসা করে এরই মধ্যে গ্রাম আদালত এলাকার ঘুষকর শালিশদারমুখী মানুষদের কাছ থেকে সমাজের অসহায় মানুষদের রক্ষা করে আসছে।

সদর উপজেলার ইশানগোপালপুর ইউনিয়নের ফারুক সেক জানান, গ্রাম আদালত এলাকায় আসার কারনে আমরা এখন অনেক কম খরচে সুবিধা পাচ্ছি বিচারিক সব ব্যাপারে। সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাঠকর্মি সিরাজুল ইসলাম জানান, আমরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মানুষদের সচেতন করছি গ্রাম আদালত সমন্ধে, যাতে তারা গ্রাম্য ঘুষকর শালিশদারমুখী মানুষদের কাছ থেকে রক্ষা পায়। ইশানগোপালপুর ইউনিয়নের গ্রাম আদালতের কোর্ট সহকারী নিলুফা ইয়াসমিন জানান, আমার আদালতে এ পর্যন্ত ফৌজদারী ও দেওয়ানী বিষয়ে ১৩০টি মামলা নিস্পত্তি করা হয়েছে। এ আদালতের সুবিধা হলো জনগন মাত্র ৪ টাকা খরচ করে মামলা করতে পারে বিনা বাধায়।

এ ব্যাপারে গ্রাম আদালতের জেলা সমন্বয়কারী এস এম ফজলুল হক দিপু জানান, আমরা এখন ফরিদপুরের ৬টি উপজেলায় গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। সামনে আমাদের লক্ষ জেলার ৯টি উপজেলায় গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়া। গরীব-নিরীহ মানুষদের সঠিক বিচার দেওয়ায় আমাদের আদালতের প্রধান লক্ষ।



মন্তব্য চালু নেই