ফরিদপুরে খালের মুখে অবৈধ বাঁধ ও মাছ লুটের অভিযোগ

ফরিদপুরের সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ও বাজারকান্দি এলাকায় ব্যক্তি মালিকানার খালের মুখে বাঁধ দেয়া ও খালসহ বিলের মাছ লুটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী জানায়, চাপাই বিলের পানি নিস্কাশনের জন্যে রামচন্দ্রপুর ও বাজারকান্দি গ্রামের কিছু মানুষ নিজেদের জমির মধ্যে দিয়ে খাল খনন করে। বিল থেকে কুমার নদে মিশে যাওয়া ওই খালটি নাহড় তলার খাল নামে পরিচিত। খালটি দিয়ে পানির সাথে প্রকৃতিগতভাবে উৎপাদিত মাছ চলাচল করায় স্থানীয়রা এবছর স্থানীয় মৎস্যজীবি বিজয় কুমারের সাথে মৎস্য আহোরনের চুক্তিবদ্ধ হয়। দীর্ঘ সময় ধরে খালে একটি পয়েন্টে ভেসাল স্থাপন করে মৎস্য আহরন করে আসছিল বিজয় কুমার বিশ্বাস।

বিজয় কুমার বিশ্বাস জানায়, সম্প্রতি চিলের কান্দি গ্রামের হাসেম মোল্ল্যা, রব মোল্লা, মো: আছাদ মোল্লা ও মো: রিপন মোল্লাগংরা খালের উৎস্য মুখ বাঁধ স্থাপন করে ঢালাওভাবে মাছ শিকার শুরু করে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ বুধবার রাতে অবৈধভাবে দেয়া বাঁধ অপসারণ করে। তিনি বলেন, বাঁধ অপসারন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা কয়েকশত মানুষ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিল ও খালের পানি থেকে মাছ লুট করে। তিনি আরো জানান, ওই খালে তার নিজেরও বিপুল পরিমান জমি রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে হাসেম মোল্লা জানান, তারা নিজেদের জমির পানি থেকে মাছ শিকার করেছে অন্য কারো জমিতে যায়নি। তিনি আরো জানান, খালের নিজ নিজ মালিকানাধীন জমিতে আমরা বাঁধ দিয়েছিলাম যা পুলিশ তুলে দিয়েছে।

কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ এনছের আলী জানান, অভিযোগ পেয়ে অবৈধভাবে দেয়া বাঁধ অপসারন করে দিয়েছি। এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

রামচন্দ্রপুর গ্রামের প্রবীন ব্যক্তি সুবল চন্দ্র মন্ডল (৭০), প্রদীপ কুমার দাস (৩৫), পরেশ চন্দ্র মন্ডল (৭২) সহ গ্রামবাসী জানান, তারা দুই গ্রামের মানুষ বিলের শতশত একর জমির ফসল রক্ষায় নিজেদের জমিতে খাল খনন করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করেছে। ওই খালের পানিতে থাকা মাছও চুক্তিঅনুসারে তারা সবাই ভোগ করে। কিন্তু চিলের কান্দি গ্রামের কিছু লোক তাদের গায়ের জোরে খাল ও বিলের পানির মাছ লুট করে। এঘটনায় সুষ্ঠ বিচার দাবী করেছে তারা।



মন্তব্য চালু নেই