সালেহা মোশাররফের মৃত্যুতে শোক

ফজলুর রহমানের বাসায় গেলেন প্রধানমন্ত্রী

বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও ধানমণ্ডি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম ফজলুর রহমান রাজুর মরদেহ দেখতে ও তার পরিবারকে শান্ত্বনা দিতে তার ধানমণ্ডির বাসায় গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার ফজলুর রহমান রাজুর বাসায় যান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। ফজলুর রহমান রাজুর পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান ও তাদের শান্ত্বনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
ফজলুর রহমান রাজু গত ২৭ আগস্ট রাতে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
শুক্রবার বাদ জুম্মা কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠে মরহুম ফজলুর রহমান রাজুর নামাজে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মরহুম ফজলুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ১ নম্বর সেক্টরের সাব কমান্ডার ছিলেন। তিনি ধানমণ্ডি থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ফজলুর রহমান রাজু।

## সালেহা মোশাররফের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক:
ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সদরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালেহা মোশাররফের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সৎ ও নিবেদিতপ্রাণ নেত্রী হিসেবে সালেহা মোশাররফের অবদান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও ফরিদপুরবাসী সব সময়ই স্মরণ করবে।’
ওই বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন সালেহা মোশাররফ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ফরিদপুর-৪ (সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসন থেকে ও ২০০৯ সালের সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তার স্বামী প্রয়াত অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন ফরিদপুর-৪ আসন থেকে ৪ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। মৃত্যুকালে বেগম সালেহা মোশাররফ তিন ছেলে ও দুই মেয়ে সহ অসংখ্যা আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।



মন্তব্য চালু নেই