ফখরুলকে ভেবে-চিন্তে কথা বলতে বললেন হানিফ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা সম্পর্কে আরো ভেবে-চিন্তে কথা বলতে বলেছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের কথা বলার সুযোগ থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

হানিফ বলেন, ‘ফখরুল একজন শিক্ষক ছিলেন, কিন্তু তার কথা মিথ্যাচারে ভরা। আমরা তাকে জানিয়ে দিতে চাই, ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে কথা বলার আগে একবার ভেবে নিবেন। আপনার নেত্রী খালেদা জিয়ার চেহারার দিকে তাকিয়ে নিবেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের অযুক্তিক কথা বলার সুযোগ পাবেন না।’

খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সাবেক দুই বারের প্রধানমন্ত্রী কতটা হতাশা ও মুর্খ হলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফটোসেশন করছেন এ কথা বলতে পারেন। একটা দেশকে একটা দেশ স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু একটি নির্বাচিত সরকারকে কোনো দেশ স্বীকৃতি দিতে হবে কতটা দেউলিয়া হলে এ ধরনের কথা বলতে পারেন।’

সরকারের পতন না ঘটিয়ে ঘরে ফিরব না খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘তিনি বক্তব্য শেষ করে ঢাকায় ফিরে বাসায় উঠেছেন নাকি হোটেলে বা রাস্তায় থেকেছেন? যদিও হোটেলে উঠার অভ্যাস তার আছে। তাকে হোটেলের দরজা ভেঙে বের করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আমরা কথা বলতে চাই না।’

হরতাল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরও এ নিয়ে আর কথা থাকে না। তার পরও একাত্তরের প্রেতাত্মাদের ইন্ধনে ইসলামী দলগুলো দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতেই এ হরতাল ডেকেছে। জনগণ তাদের এ হরতালে সাড়া দেয়নি। সারাদেশে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক ছিল।’

এজন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

সভায় ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে একদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সকাল সাড়ে ৬টায় কেন্দ্রীয় ও দেশের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনিমিত এবং কালো ব্যাজ ধারণ। ৭টায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, ৮টায় বনানী কবরস্থানে শহীদদের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পন ও দোয়া মাহফিল, বিকেল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা। সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মতিয়া চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জাম ভূঁইয়া ডাবলু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান, ঢাকা মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনে নেতারা।



মন্তব্য চালু নেই