প্লাতিনিকে ২০ লাখ ডলার ‘ঘুষ’ : তদন্তের মুখে ব্ল্যাটার

সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জুরিখে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফিফা’র সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সেখানে ফিফা’র বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু বলার কথা ছিল সেপ ব্লাটারের। কিন্তু কোনো কারণ না দেখিয়েই এক ঘণ্টা পেছানো হয় সেটি। এরপর তা আবার বাতিলই করা হয়।

বাতিলের কারণ অবশ্য বোঝা যায় একটু পরেই। সংবাদ সম্মেলন করবেন কি, নিজেকে বাঁচাতেই ব্যস্ত ব্লাটার। তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে সুইস অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস।

ফুটবলে গত দেড় যুগ ধরে রাজত্ব চালিয়েছেন ব্লাটার। ১৯৯৮ সালে ফিফা সভাপতির দায়িত্ব প্রাপ্তির পর থেকেই নানা রকম দুর্নীতির অভিযোগে বারবার অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। কিন্তু এই সুইস ফুটবল সংগঠক উড়িয়ে দিয়েছেন এ সব অভিযোগ।

নিজ দেশের আইনি কর্মকর্তারাই তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেছেন। অর্থ আত্মসাৎ, ভুল ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি নানা অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এবার অবশ্য অভিযোগে ব্লাটারের সঙ্গে জড়িয়েছে মিশেল প্লাতিনির নামও। ফিফা সভাপতি নাকি ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২০ লাখ ডলার সরিয়েছিলেন ফিফার তহবিল থেকে। ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে ব্লাটারের হয়ে কিছু ‘কাজ’ করে দেওয়ার জন্য এই অর্থ ব্লাটার নাকি উপঢৌকন দিয়েছিলেন প্লাতিনিকে।
তবে মিস্টার ব্ল্যাটার এবং মিশেল প্লাতিনি দুজনই এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সুইস অ্যটর্নি জেনারেল অফিস জানায়, শুক্রবারই ফিফার সদরদপ্তরে অনুসন্ধান চালানো হয। সুইস অ্যটর্নি জেনারেল অফিসের কর্মকর্তা অ্যান্দ্রে মার্টে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজ ফিফার সদর দপ্তরে তল্লাশি চালানো হয়েছে।’

ব্ল্যাটারের অফিসেও অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো হয়। একজন অভিযুক্ত হিসেবে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ফিফা অবশ্য বলছে, তারা তদন্তকাজে সব ধরনের সহায়তা করে যাচ্ছে।

৭৯ বছর বয়স্ক ব্ল্যাটার ১৯৯৮ সাল থেকে ফুটবলের আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটির পরিচালনা করে আসছেন।
তিনি বরাবরই দুর্নীতিতে তার জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

অন্যদিকে প্লাতিনি শুক্রবার এক বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, যে অর্থ তিনি মিস্টার ব্ল্যাটারের কাছ থেকে নিয়েছিলেন তা ছিল নেতান্তই কর্মসূত্রে নেয়া।

আগামি ফেব্রুয়ারি মাসে ব্ল্যাটারের দায়িত্ব থেকে চলে যাওয়ার কথা। এরপর মিশেল প্লাতিনি তার স্থলাভিষিক্ত হবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।

সূত্রঃ বিবিসি স্পোর্টস



মন্তব্য চালু নেই