‘প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা নেই হিলারির’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে দলীয় মনোনয়নে প্রাক-বাছাইয়ের লড়াই প্রায় শেষের দিকে। প্রাক-বাছাইয়ের এ দৌড়ে রিপাবলিকান দলের তিন প্রার্থী নিজেদের মনোনয়ন নিশ্চিতের চেষ্টা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেট দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন দুই প্রার্থী। এদের একজন দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্টলেডি হিলারি ক্লিনটন ও অন্যজন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স।

মনোনয়ন দৌড়ের শেষ দিকে প্রচারণার চেয়ে ব্যক্তিগত আক্রমনের দিকে ঝুঁকছেন দু’জনই। সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে হিলারি ক্লিনটন তার প্রতিদ্বন্দ্বী বার্নি স্যান্ডার্সের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

ব্যক্তিগত ওই সমালোচনার পর বার্নি স্যান্ডার্স বুধবার এক নির্বাচনী সমাবেশে একই ভাষায় আক্রমণ করেছেন প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিনটনকে। বলেছেন, ‘আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা নেই হিলারি ক্লিনটনের।’

ফিলাডেলফিয়ায় সমর্থকদের উদ্দেশ্য দেয়া বক্তব্যে স্যান্ডার্স বলেন, ‘সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী খানিকটা নার্ভাস হয়ে পড়েছেন বলে মনে হয়। তাই তিনি মনে করছেন, আমার প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা নেই। আসলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার মত যোগ্যতা নেই তার নিজেরই (হিলারি)। যদিও তার সুপার প্যাক (পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি) কোটি কোটি ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছে।’

এরপরই তিনি হিলারিকে উদ্দেশ্য করে বলেন,‘ কিন্তু আমি মনে করি না যে, তোমার প্রেসিডেন্ট হওয়ার মত যোগ্যতা আছে।’

তাৎক্ষণিকভাবে তার এ মন্তব্যে কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি হিলারি। তবে তার প্রচারণা বিষয়ক মুখপাত্র ব্রিয়ান ফ্যালন এক টুইটার বার্তায় বলেছেন,‘স্যান্ডার্স যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না এমন কোনো মন্তব্য করেন নি হিলারি ক্লিনটন। কিন্তু তিনি (স্যান্ডার্স) এখন হিলারি সম্পর্কে যেটা বলছেন তা দুঃখজনক।’

এর আগে বুধবার সকালে হিলারি বলেছিলেন, স্যান্ডার্স এখনো প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রস্তুত নন। স্থানীয় ‘এমএসএনবিসি’ টিভি চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হিলারি বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি ঠিকমত হোমওয়ার্ক করেননি। যদিও গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা বলে আসছিলেন। কিন্তু এর ওপর তিনি তেমন কোনো প্রস্তুতি নেননি এবং কোনো পড়াশোনাও করেননি। এসব কারণে তাকে নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে।’

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ডেমোক্রেটিক দলের এই দুই নেতা। গত মঙ্গলবার উইসকন্সিন অঙ্গরাজ্যে হিলারিকে হারিয়েছেন স্যান্ডার্স।



মন্তব্য চালু নেই