প্রার্থী হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই কাদের সিদ্দিকীর

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপনির্বাচনে কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী ইয়াসিন খান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপনির্বাচনে কৃষক-শ্রমিক জনতা দলের প্রার্থী হন কাদের সিদ্দিকী। তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু ঋণখেলাপির অভিযোগে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। এর বিরুদ্ধে কাদের সিদ্দিকী নির্বাচন কমিশনে আপিল করলেও তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত থাকে। নির্বাচন কমিশনের ওই বাতিল আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন কাদের সিদ্দিকী। গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট কাদের সিদ্দিকীর আপিল খারিজ করেন। এর বিরুদ্ধে তিনি লিভ টু আপিল করেন। এর শুনানি শেষে আজ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের বিরুদ্ধে করা কাদের সিদ্দিকীর আপিলও খারিজ করে দেন। এতে তাঁর প্রার্থী হওয়ার আর কোনো সুযোগ থাকল না।

পবিত্র হজ নিয়ে মন্তব্যের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত এবং মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার পর টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করেন। এতে শূন্য হয়ে যায় ওই আসন। একই আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেন কাদের সিদ্দিকী। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ঋণখেলাপের অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে কাদের সিদ্দিকী নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে তা ওই বছরের ১৮ অক্টোবর খারিজ হয়। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন তিনি। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট কাদের সিদ্দিকীর রিট আবেদনের ওপর রায় দেন। এতে মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই