প্রাথমিকের আন্দোলন, অ্যাকশনে যাচ্ছে সরকার

সারাদেশে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সব জেলা, উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের কাছে চিঠি যাচ্ছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জাজরীন নাহার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি আজ রবিবার মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানোর কথা রয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এতথ্য জানিয়েছে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সরকার কদিন আগে পে স্কেল ঘোষণা করেছে। এখনও গেজেট জারি হয়নি। তার আগেই প্রাথমিকের শিক্ষকরা আন্দোলনে নেমেছে। সরকারি চাকরিবিধ অনুযায়ী তারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে পারে কিনা সে প্রশ্ন উঠেছে।’

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনরত শিক্ষকদের তালিকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা তৈরি করেছে। সে তালিকা ইতোমধ্যে আমাদের কাছে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আন্দোলন ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে আন্দোলনরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি প্রস্তুত করেছি। খুব শিগগিরই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সরকারের এমন উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষকদের নেতা বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম ছায়িদ উল্লা বলেন, ‘আমরা সরকারি বিধি মেনেই আন্দোলন করছি। সরকারি কর্মচারী বিধি ১৯৭৯ অনুযায়ী আমরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছি না। আমরা আংশিক কর্মবিরতি পালন করছি। আমরা বিদ্যালয়ের কার্যক্রম থেকে সরে যাইনি। কার্যক্রম অব্যাহত রেখেই আন্দোলন করছি।’

অষ্টম বেতন স্কেলে পদমর্যাদা নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনসহ কয়েক দফা দাবিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঁচটি সংগঠনের মোর্চা বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্যজোট।

আন্দোলনরত শিক্ষকেরা বলছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি চলবে। বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৬৩ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌনে চার লাখ শিক্ষক রয়েছেন। ঢাকাটাইমস



মন্তব্য চালু নেই