প্রশ্নপত্র ফাঁস: ছাত্র ধর্মঘটে অচল শিক্ষাঙ্গন

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এনে মেডিকেলে পুনঃভর্তি পরীক্ষাসহ চার দফা দাবিতে আজ বুধবার সারাদেশে ছাত্র ধর্মঘট চলছে। প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ক্লাস-পরীক্ষা।

গতকাল মঙ্গবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয় সংগঠন দুটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাবিব রুম্মন।

রুম্মন বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ফাঁস করা প্রশ্নে মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার পর থেকে ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়াসহ চার দফা দবিতে আমরা আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু পুলিশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালাচ্ছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দায়িত্বহীন বক্তব্য দিয়ে বিষয়টিকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, গত ৪ অক্টোবর আমরা প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ, ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রে নেয়া ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেয়া, প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পুলিশের নির্যাতনের বিচারের দাবিতে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। পুনঃভর্তি পরীক্ষাসহ আমাদের দাবি তো মানা হয়নি, একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়নি। বরং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রশ্ন ফাঁসকারীদের আরো উৎসাহিত করছে। এ অবস্থায় আমরা আমাদের পূর্বঘোষিত ধর্মঘট পালনের জন্য ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জি এম জিলানী শুভ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি লেলিন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাঈমা খালেদ মনিকা, উম্মে হাবিবা বেনজির প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই