প্রমাণ পেলেই খালেদা গ্রেপ্তার

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রোলবোমা ছুঁড়ে মারার ঘটনায় তথ্য-প্রমাণ পেলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকেও গ্রেপ্তার হবে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আসাদুজ্জামান মিয়া। ইতোমধ্যে বেগম জিয়াকে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামিও করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে নাশকতারোধে ডিএমপির করণীয় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা মামলায় নাশকতার নির্দেশদাতা হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসনকে আসামি করা হয়েছে। সে মামলার ভিডিও ফুটেজ ও ভয়েস রেকর্ড ইতোমধ্যেই সংগ্রহ করা হয়েছে। ফৌজদারী আইন অনুযায়ী আরো যেসব তথ্য প্রমাণ দরকার সেগুলোও সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব তথ্য প্রমাণ যাছাই-বাছাই করে যদি প্রমাণ হয় যে, তিনি (খালেদা) নাশকতার নির্দেশদাতা হিসেবে কাজ করছেন কিংবা অর্থ যোগান দিয়েছেন, তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। কারণ তিনি আইনের ঊর্ধ্বে নন। তখন তার সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থানও বিবেচনা করা হবে না।’

ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা যাবে না, এটা ঠিক না। দৃশ্যমান নয় এমন অনেকেই আছেন, যারা এসব নাশকতার অর্থের যোগান দিচ্ছেন। এদেরও তালিকা করা হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিসি ডিবি মনিরুল ইসলাম, ট্রাফিকের যুগ্ম-কমিশনার মিলি বিশ্বাস।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা হামলায় কমপক্ষে ২৭ জন দগ্ধ হন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

৫ জানুয়ারি বিএনপির ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ ও আওয়ামী লীগের ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ উপলক্ষে কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতিকে ঘিরে নতুন বছরে রাজনৈতিক অঙ্গন আবারো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিএনপিকে ঢাকায় সমাবেশ করতে না দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা-সমাবশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরাপ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এর প্রতিবাদে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী। এ অবরোধের ২১তম দিন চলছে আজ সোমবার। বিএনপি নেতৃত্বাধীন এ জোটের টানা অবরোধ চলাকালে সারা দেশে ককটেল, আগুন ও পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়ে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বিরোধী জোটের ১১ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি।



মন্তব্য চালু নেই