প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে ‘হুদহুদ’

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘হুদহুদ’ সামান্য পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে সরে গিয়ে বর্তমানে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯শ ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯শ’ ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল (১৩.২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ)।

‘হুদহুদ’ আরও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলা করতে বলা হয়েছে।
তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ঘূর্ণিঝড়টি এখন যত দূরে আছে, তাতে আগামী তিন দিনের আগে এটি উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই। এখন পর্যন্ত এর গতিমুখ ভারতের অন্ধ্র ও উড়িষ্যার দিকে। তবে এ ধরনের ঘূর্ণিঝড় যেকোনো সময় গতিপথ বদলে ফেলে বাংলাদেশেও আঘাত হানতে পারে।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর বলছে, এই ঘূর্ণিঝড় উপকূলে বৃষ্টি ঝরাবে। ১২ অক্টোবর নাগাদ ঝড়টি বিশাখাপত্তম ও গোপালপুরের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

গত বছর অক্টোবর-নভেম্বরে পাইলিন, হেলেন ও লহর নামে তিনটি ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্র উপকূলে আঘাত হানে। এর আগে ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে উড়িষ্যায় সুপার সাইক্লোনে অন্তত ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়



মন্তব্য চালু নেই