উত্তর খামার মোহনা ইউনাইটেড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ

গঙ্গাচড়া উপজেলার উত্তর খামার মোহনা ইউনাইটেড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে উক্ত বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ এমদাদুল হক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পাবার পর থেকে উপবৃত্তি সহ নানা ধরনের অনিয়ম দূর্নীতিতে বিদ্যালয়টি ভরে গেছে।

উল্লেখ্য যে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকেও হাজিরা খাতায় উপস্থিতি দেখান এ ধরনের ঘটনা তার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। তিনি দায়িত্ব প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে নিয়মিত ভাবে মাসিক সভা না করে শুধু স্বাক্ষর গ্রহন করেন কিন্তু রেজুলেশনে কি লেখা হয় তা কোন সদস্যকে অবগত করা হন না।

অভিযোগে আরো জানা যায়, ২০১৪ইং সালের উপবৃত্তির নতুন কার্ড তৈরীতে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে ১শত টাকা থেকে ১৫০টাকা পর্যন্ত করে নিয়েছেন অফিস খরচের কথা বলে এছাড়া তিনি খামার মোহনা গ্রামের লাবনী আক্তার, লিখন মিয়া, শিমুল মিয়া, ফজিলা খাতুন,মিম আক্তার,টারজেন মিয়া, কাওছার আলী,একরামুল হক, এনতাজুল হক, এজাবুল হককে ভূয়া ছাত্র ছাত্রী দেখিয়ে ২০১৩ইং সাল হইতে ২০১৪ইং সাল পর্যন্ত উপবৃত্তি টাকা আত্মসাত করেন এবং উক্ত ছাত্র ছাত্রী ছাড়াও ভর্তিকৃত অনেক ছাত্র ছাত্রী ঢাকায় অবস্থান করলেও তাদের নামের উপবৃত্তির টাকা তুলে প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকগণ ভাগাভাগী করে নেন।

উক্ত ছাত্র ছাত্রী বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকলেও তাদের নামে উপস্থিতি দেখিয়ে বিস্কুট উত্তোলন করেন এবং উক্ত বিস্কুট তার বাড়ির গরুকে খাওয়ান। অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক ম্যানেজিং কমিটি গঠনে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন তিনি তফসিল ঘোষনার পূর্বে ম্যানেজিং কমিটির কোন রকম সিদ্ধান্ত ছাড়াই নিজে নিজেই সবকাজ সম্পন্ন করেছেন এমন কি আমার স্বাক্ষর জাল করে তার মনগড়া ব্যক্তিকে উক্ত কমিটিতে নিয়ে এসেছেন ২০১৪ইং সালের বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ছাড়াই তিনি বিদ্যালয়টি পরিচালনা কমিটি করেছেন আমি তার কোন কাগজে স্বাক্ষর আমার কোন কাগজ পত্রাদি দাখিল করিলে তাহা জাল করেছেন।

উক্ত ম্যানেজিং কমিটির কতটুকু বৈধতা আছে তা তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। এ ব্যাপারে অত্র বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি এক বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত হিসাবে আছি উপবৃত্তিতে কোন দূর্নীতি হয় নাই যেসব ছাত্র ছাত্রী বিদ্যালয়ে অনউপস্থিত আমরা তাদের উপবৃত্তি কিংবা বিস্কুট কোনটাই উত্তোলন করিনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সব গুলো ভিত্তিহীন।



মন্তব্য চালু নেই