প্রধান শিক্ষককে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখলেন আ.লীগ নেতা

সিধলা ইউনিয়নের হাসনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে অফিসে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বিরুদ্ধে।

ওই স্কুল শিক্ষকের নাম জহিরুল ইসলাম আকন্দ। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সিধলা ইউনিয়নের হাসনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মারধরকারী হায়দার অর রশিদ মিলন সিধলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে প্রধান শিক্ষকের নিজ কার্যালয়েই এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হাসনপুর সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন করার বিষয় নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে মিলনের দ্বন্দ্ব চলছিল। বৃহস্পতিবার মিলন তার কক্ষে গিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন।

এসময় প্রধান শিক্ষক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলায় দু’জনের মাঝে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে মিলন তাকে চড় থাপ্পড় মারে এবং বাঁশ দিয়ে পেটাতে শুরু করে। পেটানোর পর তাকে অফিসে এক ঘণ্টা তালাবদ্ধ করেও রাখা হয়।

ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম রেজা বাবলু গিয়ে শিক্ষককে উদ্ধার করেন। পরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিষয়টি রোববারের মধ্যে মীমাংসার সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, মিলন এসে ম্যানেজিং কমিটি করার জন্য নির্দেশ দেয়। আমি তাকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বললে আমাকে বাঁশ দিয়ে পেটায়। তারপর মারধর করে অফিসে তালাবদ্ধ করে রাখে।

তবে মারধরের কথা অস্বীকার করে হায়দার রশিদ মিলন বলেন, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত, বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম ও ম্যানেজিং কমিটি গঠনের বিষয় জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক আমাকে মারধর করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়। আমি তাকে মারধর করেছি এই অভিযোগ সত্য নয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মর্জিনা আক্তার জানান, প্রধান শিক্ষককে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহত শিক্ষককে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে।

তবে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি বলে জানিয়েছেন গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মো. ফজলুল করিম।



মন্তব্য চালু নেই