প্রধান নির্বাহী বলে কথা!

পাবনা জেলা পরিষদের নুরপুরের ডাকবাংলোর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দুটি ভিআইপি কক্ষ দীর্ঘ আড়াই বছর নিজ দখলে রেখেছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) একেএম মাসুদর রহমান। পাবনা-সার্কিট-হাউস {focus_keyword} প্রধান নির্বাহী বলে কথা!

সরকারি বা বেসরকারি কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পাবনায় আসলে সেখানে থাকার সৌভাগ্য তাদের কমই হয়। কারণ দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে কক্ষ দুটি কোনো ভাড়া পরিশোধ না করেই সেখানে থাকছেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের রেস্ট হাউস হিসেবে পাবনা জেলা পরিষদের নুরপুরস্থ ডাকবাংলো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। দুই বছর আগে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে এই বাংলোটি সংস্কার করে আধুনিয়কায়ন করা হয়। কিন্তু সংস্কারের পর সেখানকার দুটি ভিআইপি কক্ষ কৌশলে নিজের কব্জায় নিয়ে নেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। একটি রুমে তিনি ঘুমান আর অন্য রুমে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দেন।

তার ব্যক্তিগত কাজ করার জন্য ডাকবাংলোতে সার্বক্ষণিক জেলা পরিষদের পিয়নদের রেখে দেয়া হয়। এছাড়া কোনো কাজ না থাকলেও ড্রাইভারকে রাত ১০/১১টা পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয়। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের সব সময় কারণে অকারণে গালিগালাজ এবং অশোভন আচরণ করে থাকেন। ভয়ে কেউ টু শব্দ করেন না।

এ ব্যাপারে পাবনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম মাসুদর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুটি রুম ব্যবহারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তারা এ ধরণের সুযোগ পেয়ে থাকেন। বরং আমি কম সুবিধা ভোগ করি।’

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জেলা পরিষদ প্রশাসক এম সাইদুল হক চুন্নু জানান, বিষয়গুলো সম্পর্কে তিনি খোঁজ নেবেন।



মন্তব্য চালু নেই