প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিউইয়র্কে উষ্ণ অভ্যর্থনা

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ৬৯তম অধিবেশনে যোগদিতে স্থানীয় সময় সকালে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটসের ইকে-৫৮৫ ফ্লাইট স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ জিয়াউদ্দিন,জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আবদুল মোমেন, যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

উষ্ণ অভ্যর্থনা শেষে আনুষ্ঠানিক মোটরযাত্রা সহকারে প্রধানমন্ত্রীকে হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে নিয়ে যাওয়া যায়। ৮ দিনের এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী এখানে অবস্থান করবেন। শেখ হাসিনা ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দফতরে ৬৯তম সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। তিনি আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের পক্ষে জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ডড্রফ এ্যাস্ট্ররিয়াতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তিনি ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের দেয়া সংবর্ধনা ও মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেবেন। ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জলবায়ূ সম্মেলন ২০১৪ এর উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগদান করবেন এবং সম্মেলনের ‘ন্যাশনাল এ্যাকশন এন্ড এম্বিশন এ্যানাউন্সমেন্ট’ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ২৪সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ‘গ্লোবাল এডুকেশন ফার্স্ট ইনিশিয়েটিভ’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক আলোচনায় সভায় যোগদান করবেন।

শেখ হাসিনা আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর গ্রান্ড হায়াত হোটেলে আমেরিকান চেম্বার ও আমেরিকান বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত এক ভোজ সভায় অংশ নেবেন। তিনি একই দিন কমনওয়েলথের সরকার প্রধানদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদর দফতরে ‘দ্যা ইন্টারন্যাশনাল পিসকিপিং অপারেশন’ শীর্ষক এক সম্মেলনে অংশ নেবেন। একই দিন তিনি বাংলাদেশের জাতিসংঘ সদস্যপদ লাভের ৪০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ২৭ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা সেন্ট্রাল পার্কের গ্রেট লনে আয়োজিত ‘গ্লোবাল সিটিজেন ফ্যাস্টিভ্যাল’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। জাতিসংঘ সম্মেলনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এছাড়া তিনি নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ, বেলারুশের প্রধানমন্ত্রী মিখাইল ভি মায়াসনিকোভিচ, কাতারের আমীর শেখ তামীম বিন হামাদ আল থানি ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার সঙ্গে বৈঠক করবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলন করবেন। এছাড়া ২৭ সেপ্টেম্বর প্রবাসী বাংলাদেশীদের এক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে আরো রয়েছেন সংসদ সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, পদস্থ কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবন্দ।

এর আগে রোববার রাতে শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের আইজি, তিন বাহিনীর প্রধান। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা।



মন্তব্য চালু নেই