প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা কার্ড পড়ে আছে মধুর ক্যান্টিনের রান্নাঘরে!

ঈদ, পূজা, বৈশাখসহ প্রায় প্রতিটি উৎসবে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এজন্য তিনি বিশেষ ধরনের শুভেচ্ছা কার্ডও তৈরি করেন। বরাবরের মতো এবারও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীসহ নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা কার্ড পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিবারের মতো এবারও দলটির অন্যতম ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের জন্যে প্রায় পাঁচশ’ শুভেচ্ছা কার্ড সংগঠনের সংশ্লিষ্ট নেতাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট নেতারা তা বণ্টন না করে ফেলে রেখে দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের রান্নাঘরে। এ ঘটনা জানতে পেরে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা কার্ড আমাদের জন্যে প্রতীক্ষিত। এটা আনন্দের, গর্বের ও সুখের। কিন্তু সংগঠনের সংশ্লিষ্ট নেতাদের কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ ও দায়িত্বহীনতার কারণে প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো কার্ড আমাদের হাতে আসেনি। পড়ে রয়েছে রান্নাঘরে। এটা আমাদের জন্যে ভীষণ কষ্টের।খবর বাংলা ট্রিবিউনের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মধুর ক্যান্টিনের পরিচালক অরুন দে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা কার্ড মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা রেখে যান, তিন দিন আগে। তিন দিন আগে দেখেছি কার্ডগুলো নিয়ে অনেকক্ষণ দুই তিন নেতা বসে ছিল। তিনি বলেন, তবে আমাকে বলে রেখে যায়নি। আমার স্টাফদের বলে রেখে গেছে হয়তো।’

এখনও এগুলো আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে যেহেতু রেখে যায়নি তাই আমি বলতে পারবো না।’

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পহেলা বৈশাখের প্রায় পাঁচশ’ শুভেচ্ছা কার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এগুলো সংগঠনের নেতাদের জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কার্ডগুলো যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নওশেদ সুজনের হাতে বিতরণের জন্যে বুঝিয়ে দেন। ওই নেতা তা বিতরণ না করে মধুর ক্যান্টিনের রান্না ঘরে রেখে দেন। যা এখনও প্যাকেটবন্দি অবস্থায় সেখানে রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘আমরা কার্ডগুলো বিতরণের জন্যে সংগঠনের কয়েকজনকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারা সেগুলো যথাযথভাবে বিতরণ করেছেন বলে জানি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেকেই কার্ড পেয়েছেন। তবে সীমিত সংখ্যক কার্ড হওয়ায় সবাই তা পাননি।’ সোহাগ আরও বলেন, ‘কার্ডগুলো আমরা শেষ মুহুর্তে পেয়েছি।’

এদিকে, কার্ড না পেয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনি বলেন, ‘এবার প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা কার্ড তার জানা মতে সংগঠনের কোনও নেতা পাননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো কার্ডগুলো সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতারা কয়েকজনকে বুঝিয়ে দেন বিতরণের জন্যে। কিন্তু যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নওশেদ সুজন এগুলো বিতরণ না করে মধুর ক্যান্টিনের রান্নাঘরে রেখে দেন। যা আজও সেখানে পড়ে রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আপনি দেখবেন আমার ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি আমি লিখেছি।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘আমরা কার্ডগুলো বিতরণের জন্যে সংগঠনের কয়েকজনকে দায়িত্ব দিয়েছি। তারা সেগুলো যথাযথভাবে বিতরণ করেছেন বলে জানি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেকেই কার্ড পেয়েছেন। তবে সীমিত সংখ্যক কার্ড হওয়ায় সবাই তা পাননি।’ সোহাগ আরও বলেন, ‘কার্ডগুলো আমরা শেষ মুহুর্তে পেয়েছি।’

এদিকে, কার্ড না পেয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনি বলেন, ‘এবার প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা কার্ড তার জানা মতে সংগঠনের কোনও নেতা পাননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো কার্ডগুলো সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতারা কয়েকজনকে বুঝিয়ে দেন বিতরণের জন্যে। কিন্তু যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নওশেদ সুজন এগুলো বিতরণ না করে মধুর ক্যান্টিনের রান্নাঘরে রেখে দেন। যা আজও সেখানে পড়ে রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আপনি দেখবেন আমার ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি আমি লিখেছি।’

রনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা কার্ড আমাদের কাছে আবেগের, ভালবাসার ও উচ্ছ্বাসের। তিনি বলেন, ‘মধুর ক্যন্টিনের সহকারী রাকিব আমাকে জানিয়েছেন, বৈশাখের দুই দিন আগে এ কার্ডগুলো রান্নাঘরে রেখে গেছেন ছাত্রলীগের এক নেতা।’

এ ঘটনা তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের এক সহ-সম্পাদক বলেন, ‘এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা কার্ড সংগঠনের কেউই পায়নি। এটা আমাদের জন্যে দুঃখজনক ঘটনা, ক্ষোভেরও।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক সহ-সভাপতি বলেন, ‘কেবলমাত্র দায়িত্বহীনতার কারণে কার্ডগুলো আমাদের কাছে আসেনি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘কার্ড না পাওয়ার কারণে গত শুক্রবার (পহেলা বৈশাখ) আমরা গণভবনে যেতেও পারিনি।’



মন্তব্য চালু নেই