প্রধানমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণমুক্ত ইসি চান কাদের সিদ্দিকী

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণমুক্ত ও স্বাধীন রাখাসহ ৯ দফা প্রস্তাব দিয়েছে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন দলটির সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কড়া সমলোচনা করে সংলাপে দলটির পক্ষ থেকে নয়টি প্রস্তাব দেয়া হয়।

প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে- সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে সার্চ কমিটি গঠন এবং আস্থাভাজন ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন গঠন।

দেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচনকে প্রধান উপাদান উল্লেখ করে প্রস্তাবে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন এবং নির্ভেজাল নির্বাচন জাতির জন্যে খুবই জরুরি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ থেকে কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও মুক্ত করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন নতুন বিধি-বিধান প্রণয়ণের সময় নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত আলাপ-আলোচনার ব্যবস্থা করবে বলেও প্রস্তাব করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। দলটির প্রস্তাব, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত না নিয়ে নির্বাচন কমিশন নতুন কোনো নির্বাচনী বিধি-বিধান বহাল বা পরিবর্তন করতে পারবে না।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আরেক প্রস্তাবে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনে অবশ্যই একজন নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

নির্বাচনী প্রচারে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের ওপর কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ না রাখার প্রস্তাব করে দলটি।

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বছরে দু-একবার হলেও বৈঠকের প্রস্তাব করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।

সর্বশেষ প্রস্তাবে দলটি বলেছে, মিয়ানমারে বর্বরোচিত অত্যাচারে রোহিঙ্গা মুসলমানরা দেশছাড়া, সেখানে মানবতা ভুলণ্ঠিত। বাংলাদেশ এখানে নিরব ভূমিকা পালন করলে স্বাধীনতার ঘোষণাই ব্যর্থ হয়ে যায়। তাই রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় দিতে হবে এবং এই সমস্যা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হবে।

বৈঠক শেষে কাদের সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির আহ্বানে সাড়া দিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছি। সংবিধানের ১১৮ তম অনুচ্ছেদে অনুযায়ী তিনি স্বাধীন মুক্তভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পারেন।’

বর্তমান সংসদে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংসদ জনসমর্থনহীন। এ সংসদের ১৫৩ জন অনির্বাচিত, বাকীরা সামান্য ভোট পেয়েছেন। এই সংসদের দ্বারা কোনো আইনের প্রয়োজন নেই- আমরা রাষ্ট্রপতিকে এটা বলেছি।’

প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিণী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসরিন কাদের সিদ্দকী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা এমএ রশিদ, রফিকুল ইসলাম, আবুল হোসেন মল্লিক, হাবিবুন নবী সোহেল, রিফাতুল ইসলাম, ফরিদ আহমেদ ও মনোয়ারা বেগম।



মন্তব্য চালু নেই