বিড়ি সিগারেটের উপর কর না বাড়ানোর সুপারিশ করলেন প্রতিমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ অমান্য করেই বিড়ির ওপর কর না বাড়াতে অর্থমন্ত্রীকে ডিও লেটার (আধা-সরকারি পত্র) দিয়েছেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র। সম্প্রতি এমন একটি খবর গণমাধ্যমে বেরিয়েছে।

আগামী অর্থবছরের বাজেটে তামাকে কর বাড়াতে কাজ শুরু করেছে এনবিআর। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও উল্টো পথে হাঁটছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী।

গত (১৮ মে) বিড়ির ওপর কর না বাড়াতে অর্থমন্ত্রীকে ডিও লেটার (আধা-সরকারি পত্র) পাঠান নারায়ন চন্দ্র।

আগামী বাজেটে বিড়ির ওপর কর না বাড়াতে সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল হাই এমপিও গত ১৪ মে অর্থমন্ত্রীকে একটি ডিও লেটার দিয়েছেন।

ডিও লেটারে উল্লেখ করা হয়, বিড়ি শ্রমঘণ শিল্প। বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি আগামী বাজেটে কর না বাড়ানোসহ বেশ কিছু সুপারিশ করেছে।

DO-Letter20160523100605

চলতি অর্থবছর বিড়িতে শুল্ক বৃদ্ধি করে ১৪.৯৯ শতাংশ করা হয়। যেখানে সিগারেটের সর্বনিম্ন স্লাবে শুল্ক ১১.৬২ শতাংশ। সিগারেটে অগ্রিম আয়কর দিতে হয় না।

বিড়িতে ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর দিতে হয়। ডিও লেটারে শিল্প ও শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষার্থে সিগারেটের ৪র্থ স্লাব বাতিল করার দাবি জানানো হয়।

একই সঙ্গে বিড়ি শিল্পের ওপর ধার্যকৃত অগ্রিম আয়কর বাতিলসহ আরোপিত সম্পূরক শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে রাখতে অর্থমন্ত্রীকে জোর সুপারিশ করেছেন প্রতিমন্ত্রী।

গত ৩১ জানুয়ারি ‘সাউথ এশিয়ান স্পিকারস সামিটে’ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা তামাকের ওপর বর্তমান শুল্ক কাঠামো সহজ করে একটি শক্তিশালী তামাক শুল্কনীতি গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবো’। আগামী ২০৪০ সাল নাগাদ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

এরপরই তামাকের বর্তমান শুল্ক কাঠামো পরিবর্তন করে সহজ একটি কাঠামো তৈরি করতে অর্থমন্ত্রী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে একটি চিঠি দিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই