প্রধানমন্ত্রীর চীনযাত্রা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ দিনের সরকারি সফরে চীনের কুনমিংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গিদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট শুক্রবার সকাল সাতটা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। বিমানটি চীনের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টা) কুনমিং পৌঁছবে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাবেন চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আজিজুল হক ও চীন সরকারের প্রতিনিধিরা।

বিমানবন্দর থেকে তাকে কুনমিংয়ে গ্রিন লেক হোটেলে নিয়ে যাওয়া হবে। সফরকালে তিনি ওই হোটেলেই অবস্থান করবেন।

সফরকালে আগামী ৯ জুন চীনের গ্রেট হলে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রী লী কেজিয়াং-এর সঙ্গে এক যৌথ ইশতেহারে স্বাক্ষর করবেন।

এছাড়া গ্রেট হলে তার সম্মানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। চীনা প্রধানমন্ত্রী লী তার সম্মানে এক ভোজসভার আয়োজন করবেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী তার সফরের প্রথম পর্যায়ে কুনমিং যাবেন এবং সেখান থেকে রোববার চীনের রাজধানী বেইজিং যাবেন।

প্রধানমন্ত্রী ৮ জুন বীর জনতার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বেইজিংয়ে চাওইয়াং থিয়েটার ও অ্যাক্রোবেটিক ওয়ার্ল্ড পরিদর্শন করবেন। এর পরদিন ৯ জুন তিনি চীন ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিসে (সিআইআইএস) এক সেমিনারে ভাষণ দেবেন। ১০ জুন তিনি বেইজিংয়ে বাংলাদেশ-চীন ট্রেড এন্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশন ফোরামেও বক্তৃতা দেবেন। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং গ্রেট হল অব পিপলসে চীনের পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের চেয়ারম্যান জু ঝেংশেং-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

শেখ হাসিনা কুনমিংয়ে দ্বিতীয় চীন সাউথ এশিয়া এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং ৬ জুন জুনান প্রদেশের গভর্নর লী জিহেংয়ের দেয়া এক ভোজসভায় যোগ দেবেন। ৭ জুন নবম চীন-সাউথ এশিয়া ব্যবসায়ী ফোরামে প্রধান বক্তা হিসেবে যোগ দেবেন তিনি। এরপর স্টোন ফরেস্ট পরিদর্শন করবেন। ওই দিন সন্ধ্যায় জুনান প্রদেশের গভর্নর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার হোটেল স্যুটে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

প্রধানমন্ত্রী চীন সফরকালে সিসিটিভি, ফিনিক্স টিভি, ইউনান টিভি এবং চীনা রেডিও ইন্টারন্যাশনালের বাংলা বিভাগকে সাক্ষাৎকার দেবেন।

চীন সফর শেষে ১১ জুন হংকং হয়ে দেশে ফিরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪০ বছর পূর্ণ হবে আগামী বছর। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই