প্রথম দিনেই ১০০ মিলিয়ন ডলার!

মুক্তি পেয়েই হলিউড বক্স অফিসের শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে জনপ্রিয় অভিনেতা টম ক্রুজ অভিনীত মিশন ইম্পসিবল সিরিজের নতুন ছবি মিশন ইম্পসিবল: রুজ নেশন। টম ক্রুজের ছবি, তার ওপর আবার ‘মিশন ইম্পসিবল’ সিরিজ। সাফল্য না হলেই তো নয়!

ভ্যারাইটির খবরে জানা গেল, উইকেন্ডের দিনে মুক্তি পাওয়া ছবিটি হলিউড বক্স অফিসে প্রথম দিনে আয় করেছে সাড়ে ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ডোমেস্টিক ও ইন্টারন্যাশনাল বক্স অফিসে প্রথম দিনেই ছবিটির আয় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

এটি অবশ্য প্রথম দিনে টম ক্রুজের সেরা সাফল্য, তা নয়। তাঁর ক্যারিয়ারে এটি এখনো তৃতীয় সেরা ওপেনিং। ২০০৪ সালের ‘ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ডস’ ছবির ওপেনিংয়ে আয় ছিল ৬৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় সাড়ে ছয় কোটি মার্কিন ডলার), ২০০০ সালের ‘মিশন ইম্পসিবল ২’-এর আয় ছিল পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার।

শুধু ঘরোয়া ময়দানে নয়, আন্তর্জাতিক মার্কেটেও দারুণ সাফল্য পেয়েছে সিক্রেট এজেন্ট ইথান হান্টের নতুন কাহিনী। ৬৫ মিলিয়ন, অর্থাৎ সাড়ে ছয় কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে ছবিটি বাইরের মার্কেটে।

সিরিজের এই পঞ্চম ছবির গল্প লিখেছেন ক্রিস ম্যাকোয়ার, পরিচালকের চেয়ারেও বসেছেন তিনি। এই ছবিতে স্পেশাল এজেন্টদের একটি বিশেষ দলের সঙ্গে লড়তে দেখা যাবে ইথান হান্ট তথা টম ক্রুজকে। ছবিতে আরো অভিনয় করেছেন সিমন পেগ, জেরেমি রেনার ও রেবেকা ফার্গুসন।

ছবিতে তারকাদের স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয় আর পারফরম্যান্সে মুগ্ধ প্যারামাউন্ট পিকচার্সের ভাইস চেয়ারম্যান রব মুর। ‘দারুণ একটা ছবি করেছে ওরা, পুরোই উত্তেজনা আর শক্তিতে ভরপুর’, বলেছেন তিনি।

‘মিশন ইম্পসিবল’ সিরিজের ছবিগুলো সব সময়ই ব্যবসাসফল। এর আগের চারটি ছবির মোট আয় ছিল দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি! এই সিরিজের আগের ছবি ২০১১ সালের ‘এমআই ৪ : ঘোস্ট প্রোটোকল’ হলিউড বক্স অফিসে ২০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে ৪৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিল।



মন্তব্য চালু নেই