প্রথমবারের মতো শিশু বাজেট

শিশুদের কল্যাণ ও অধিকার সুরক্ষায় এবারের বাজেটে দেশে প্রথমবারের মতো শিশু বাজেট অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

বুধবার সচিবালয়ে শিশু অধিকার সম্পর্কিত সংসদীয় ককাসের সঙ্গে এক প্রাক-বাজেট বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা জানান। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া সংসদীয় ককাস প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

তিনি বলেন, ‘গতবার বলেছিলাম, এ বছর শিশুদের জন্য বাজেট ঘোষণা করা হবে। তবে সবকিছুই প্রথমবার অতটা ভাল হয় না এবং তেমন বড় কিছু দেওয়াও সম্ভব হবে না।’

প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংসদীয় ককাসের পক্ষ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমে ৫টি মন্ত্রণালয়কে শিশু বাজেটের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়। এগুলো হচ্ছে- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

এ ছাড়া শিশুদের স্বাস্থ্য অধিকার ও পুষ্টি নিশ্চিত করা, প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া এবং দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী শিশুরা যাতে পড়তে পারে সে জন্য প্রতিটি স্কুলের ৫ থেকে ১০ শতাংশ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান, কিশোরী-বয়ঃসন্ধি ও স্বামী পরিত্যক্তদের বিশেষ সুরক্ষা প্রদানের সুপারিশ করেন উপস্থিত সংসদ সদস্যরা।

শিশুদের কল্যাণে গত বছর বাজেটে ৫০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে তারা বলেন, শিশুদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ কীভাবে ব্যয় হচ্ছে সেটা মনিটরিং করা দরকার। এ প্রসঙ্গে একটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শিশুদের সব বরাদ্দ দেওয়া হলে ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বাড়বে বলে মত ব্যক্ত করা হয়।

সংসদীয় ককাসের এ সব সুপারিশের জবাবে শিশুদের স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা যাতে সাধারণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তে পারে সে জন্য ১০ শতাংশ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান ও শিশুদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে মনিটরিংয়ের বিষয়ে সায় দেন অর্থমন্ত্রী।



মন্তব্য চালু নেই