প্রকাশিত হল ধর্ষণের শীর্ষে থাকা ১০ টি দেশের তালিকা

বিশ্ব জুড়ে ক্রমশই ধর্ষণ বা নারী নিগ্রহের মতো ঘটনা বেড়ে চলেছে। উন্নত দেশগুলোতে সেই সব ধর্ষণের খবর নজরে আসলেও অনুন্নত দেশগুলোতে অধিকাংশ ধর্ষণের খবর চাপা পড়ে যায়।

সম্মানহানীর ভয়ে অনুন্নত দেশে অনেক নারীই ধষর্ণ বা যৌন নিগ্রহের খবর পুলিশে জানান না। ফলে বিশ্ব জুড়ে প্রতিদিন ঘটে চলা ধর্ষণের বা নারী নিগ্রহের ঘটনার তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করা বেশ কঠিন।

তবু সরকারি এবং বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার সমীক্ষায় যে তথ্য উঠে আসে তা রীতিমতো চোখ কপালে ওঠার মতো। দেখে নেওয়া যাক ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার ঘটনায় শীর্ষে থাকা ১০ দেশের তালিকা।

দক্ষিণ আফ্রিকা (প্রথম)

ধর্ষণ তালিকার শীর্ষে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতি বছর পাঁচ লাখ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ আফ্রিকার ৪০ শতাংশ নারী জীবনে একবার ধর্ষিত হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী ৯ জন ধর্ষিতার মধ্যে মাত্র এক জন পুলিশে খবর দেন।

সুইডেন (দ্বিতীয়)

ধর্ষণের ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার পরেই রয়েছে সুইডেন। প্রতি লাখে ৫৩.২ শতাংশ নারী ধর্ষিত হন। ধর্ষণের ঘটনাও বেড়েছেও লাফিয়ে লাফিয়ে। ১৯৭৫ সালে যেখানে সংখ্যাটা ছিল ৪২১ জন, সেখানে ২০১৪ সালে ধর্ষণের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ছয় হাজার ৬২০ জনে।

আমেরিকা (তৃতীয়)

জর্জ ম্যাসন বিশ্ববিদ্যায়ের সমীক্ষা অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি তিন জন নারীর মধ্যে এক জন তাঁদের জীবনে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন। সে দেশে ১৯ শতাংশ নারী এবং দুই শতাংশ পুরুষ জীবনে অন্তত একবার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

ইংল্যান্ড(চতুর্থ)

এক সমীক্ষার তথ্য অনুাযায়ী এ দেশে ধর্ষণের সময় শুধু পুরুষের লিঙ্গ ব্যবহার করা হয় না। আঙুল বা অন্য কোন বস্তু ব্যবহার করে ধর্ষণ করা হয়। ২০১৩ সালে প্রকাশিত হওয়া সরকারি তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছরে ইংল্যান্ড এবং ওয়ালসে ৮৫ হাজার মানুষ ধর্ষিত হন।

ভারত(পঞ্চম)

ভারতের জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ভারতে প্রতি ২০ মিনিটে একজন নারী ধর্ষিত হন। অধিকাংশ নিগৃহীতার বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

নিউজিল্যান্ড (ষষ্ঠ)

এ দেশের ন্যায় মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত রির্পোট অনুযায়ী প্রতি দুঘণ্টা অন্তর একজন যৌন হেনস্থার শিকার হন। এই রির্পোট থেকে জানা যাচ্ছে, প্রতি তিন জন বালিকার মধ্যে একজন এবং প্রতি ছয়জন বালকের মধ্যে ১ জন তাদের ১৬ বছর বয়েসের আগেই যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছে।

কানাডা (সপ্তম)

একটি সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কানাডায় প্রতি বছর চার লাখেরও বেশি মানুষ যৌন হেনস্থার শিকার হন। প্রতি চারজন নারীর মধ্যে অন্তত ১ জন তাদের জীবনে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে মাত্র ছয় শতাংশ পুলিশের রিপোর্ট করেন।

অস্ট্রেলিয়া(অষ্টম)

একটি সংবাদমাধ্যমের হিসাব অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি ছয়জন নারীর মধ্যে এক জন ধর্ষণের শিকার হন। ২০১২ সালে ৫১ হাজার ২০০ জন তাদের ১৮ বছর বয়েসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

জিম্বাবুয়ে (নবম)

এ দেশে প্রতি ৯০ মিনিটে একজন নারী ধর্ষণের শিকার হন। জিম্বাবুয়ের সরকারি তথ্য অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০০ জন এবং দিনে ৬ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন।

ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড (দশম)

একটি মানবাধিকার সংস্থা সমীক্ষা অনুযায়ী ডেনমার্কে ৫২ শতাংশ নারী এবং ফিনল্যান্ডে ৩৭ শতাংশ নারী ধর্ষণের শিকার হন।



মন্তব্য চালু নেই